শিরোনাম
◈ যেকারনে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭৫ কি.মি. অংশে বেড়া নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়, জানাল ভারত ◈ ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ ◈ নয়াদিল্লির আদলে ঢাকায় মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ কমিশনের ◈ ১৫ বছর চাকরি করলেই পাওয়া যাবে পেনশন ◈ ট্রাম্পের 'সহায়তা স্থগিত', বাংলাদেশে মার্কিন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর সুযোগ ◈ নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের ◈ 'ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে’ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:৪৭ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মণিপুরে রক্ত ঝরাচ্ছে মোদির দল, ফাঁস কল রেকর্ড

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্সের রাজ্য মনিপুরে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘাতের পেছনে বিজেপির গভীর সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি কল রেকর্ডে মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং নিজেই রাজ্যের জাতিগত সহিংসতায় তার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং মনিপুরে কুকি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে সংঘাত উসকে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলছেন। তিনি রাজ্যের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে এই কাজে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান সহিংসতায় রাজ্যটিতে ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রতিদিন ঘটছে সহিংসতার ঘটনা। নারী নির্যাতন, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর প্রতিনিয়ত আসছে।  

মনিপুরের এই সংকট নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীরবতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। সংঘাত শুরুর পর থেকে একবারও রাজ্যটিতে সফর করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। বরং, মনিপুরের অস্থিরতার জন্য বারবার মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও অবৈধ অভিবাসীদের দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং।  

কিন্তু সাম্প্রতিক কল রেকর্ড ফাঁসের মাধ্যমে উঠে এসেছে এক ভিন্ন চিত্র। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, রাজ্যের এই ভয়াবহ অস্থিরতার পেছনে বাইরের কোনো শক্তি নয়, বরং বিজেপি সরকারেরই প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকতে পারে।  

মনিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। তবে ২০২৩ সালে এই সংঘাত ভয়াবহ রূপ নেয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, বিজেপি সরকার এই জাতিগত বিভাজনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।  

মনিপুরের এই সহিংসতা নিয়ে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সামনে আসার পর মোদি সরকারের অবস্থান আরও চাপের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়