পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন।
ক্ষমতায় এসেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ জারি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পর এবার বাণিজ্যিক খাতে শুল্ক আরোপে নজর দিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের আগে থেকেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপের হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। এবার তারই বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে।
কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা শনিবার থেকে কার্যকর করা হবে।
তবে এই পণ্য তালিকায় তেল অন্তর্ভুক্ত হবে কি না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ট্রাম্প। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কর আরোপের পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানাইল মাদকের প্রবেশ বন্ধ করতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্যক ঘাটতি মোকাবিলার জন্য নেয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা তেলের ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে ব্যয় বাড়বে মার্কিনীদের জীবনে।
এদিকে চীনের ওপর কর আরোপের ব্যাপারে পরিকল্পনা করছেন বলে জানান ট্রাম্প। তবে কবে এবং কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বেইজিং এর ওপর তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়ীক অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তারপরও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ট্রাম্পের দাবি, চীন থেকে ব্যথানাশক ফেন্টানিলের রাসায়নিক উপাদান মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদেও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি দেশটির পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :