যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে ৩ জন মার্কিন সৈন্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার (ডিসি) ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের প্রধান জন ডনেলি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে মনে হচ্ছে না যে আমরা কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমস্ত মরদেহ উদ্ধার করে তাদের প্রিয়জনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’
এর আগে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার শিকার সামরিক হেলিকপ্টারটি ছিল একটি ইউএস আর্মির ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যেটি মূলত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হেলিকপ্টারটিতে কোনো উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
বুধবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জন ডনেলি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে নদীতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির খোঁজ পাওয়া যায়।’
হতাহতের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে, সেখানে কোনো জীবিত ব্যক্তি আছেন কি না। তবে উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের সন্ধানে কাজ করছেন।’
ডনেলি আরও বলেন, ‘উদ্ধারকর্মীদের প্রথম ও প্রধান কাজই হলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা। তবে পাশাপাশি তারা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে উড়োজাহাজটির বিধ্বস্তের প্রমাণ সংরক্ষণের কাজও করবেন।’
দুর্ঘটনা নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার নিশ্চিত করেছেন, হেলিকপ্টার ও বিমান উভয় পোটোম্যাক নদীতে গিয়ে পড়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বিমানটিতে ৬৪ জন এবং সামরিক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন যাত্রী ছিলেন।
বাউসার বলেন, ‘এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য মানুষকে উদ্ধার করা এবং আমাদের সমস্ত কর্মীরা সেদিকেই মনোনিবেশ করছেন।’ তিনি উদ্ধার প্রচেষ্টা বা তদন্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেছেন, ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও এই তদন্তে সহযোগিতা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :