নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপের পর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই বার্তা দেয়ার পরপরই আবার ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করে তাদের ওপর বড় ধরনের শুল্ক চাপানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ভারত-চীনের মতো দেশগুলো বিপুল পরিমাণে আমদানি শুল্ক (মার্কিন পণ্যে) চাপায়। এবার সেই পথে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্রও। কারণ দেশের স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবে তার প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এরপর, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দলীয় এক অনুষ্ঠানে শুল্ক ইস্যুতে এসব কথা শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে।
ফ্লোরিডায় দলের এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন রিপাবলিকান এই নেতা। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মূল লক্ষ্য, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। অর্থাৎ দেশের স্বার্থই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প বলেন, যেসব দেশ বা সংস্থা আমাদের ক্ষতি করে তাদের ওপর বড় শুল্ক চাপিয়ে দেব। আসলে ওরা আমাদের শুল্ক দিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। কিন্তু সেটা আর হতে দেব না।
উদাহরণ হিসেবে ভারত, চীন এবং ব্রাজিলের নাম উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কথায়, চীন প্রচুর আমদানি শুল্ক চাপায়। একই কাজ করে ভারত ও ব্রাজিলের মতো আরও অনেক দেশ। কিন্তু সেটা আর হবে না, কারণ আমরা আমেরিকা ফার্স্ট নীতি নিয়ে চলব।
আমদানি শুল্ক এড়াতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে ট্রাম্পের বার্তা, তারা যেন মার্কিন মুলুকেই কারখানা নির্মাণ করে। আগামী কিছুদিনে খুব কম সময়ের মধ্যে আমেরিকায় প্রচুর কারখানা হবে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমদানি শুল্ক বাড়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা কমবে। পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মাবলির কারণে দেশের উন্নতি হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আবারও ধনী এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, এর আগে ব্রিকস সদস্যদের ওপর বড় ধরনের শুল্ক বসানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তা নিয়ে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সূত্র: এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন ও সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :