শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:২০ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমার থেকে পাচারকৃত স্টারলিংক ডিভাইস ভারতের মণিপুরে!

গার্ডিয়ান প্রতিবেদন: ভারতের মনিপুরে বেসামরিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী চোরাচালনে আসা স্টারলিংক ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেটের বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পর মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকছে সেখানকার বাসিন্দারা। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এধরনের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক স্টারলিংক বর্তমানে ভারতে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সই পায়নি। সরকারী ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মণিপুর রাজ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তা ব্যবহার করছে। 

ইলনমাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতে বৈধভাবে ব্যবসা না পেলেও প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে অনুমোদিত। উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি এবং সংখ্যালঘু কুকি জনসংখ্যার মধ্যে মারাত্মক সংঘাতে এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। উভয় পক্ষে সশস্ত্র দল তৈরি এবং মনিপুর রাজ্যটি জাতিগতভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্য এবং জাতীয় সরকারগুলি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার মণিপুর জুড়ে সমস্ত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কখনো কয়েক মাস বা সপ্তাহের জন্য।

কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং পুলিশের মধ্যে একাধিক সূত্র গার্ডিয়ানকে নিশ্চিত করেছে যে সরকার যখন মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সেই সময় ব্যক্তি এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিল।

মেইতি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী, পিপলস লিবারেশন আর্মি অফ মণিপুর এর একজন নেতা স্টারলিংক ডিভাইস ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন,  স্টারলিঙ্ক ডিভাইস প্রথমে মিয়ানমারে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ব্যবহার করার পর বুঝতে পারে এটি মণিপুরের সীমান্তেও কাজ করে। মাস্ক ১.৪ বিলিয়ন মানুষের বিশাল এবং ক্রমবর্ধমান বাজার ভারতে স্টারলিঙ্ক চালুর চেষ্টা করছেন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

তবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সহ টেলিকম হল ভারতের সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত শিল্পগুলির মধ্যে একটি। দেশটির বিশেষজ্ঞ এবং থিঙ্কট্যাঙ্করা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে স্টারলিংক একটি নিরাপত্তা হুমকির কারণ হতে পারে, বা ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের বিরুদ্ধে তা ব্যবহার হতে পারে। গত সাত বছরে ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে।

মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের একজন ব্যক্তি, পুলিশের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তিনি বিয়ের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা একটি স্টারলিঙ্ক ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখেছেন। মণিপুরে কতটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তা নিশ্চিত নয়। গত ডিসেম্বরে, ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী বলে যে তারা আন্দামান ও নিকোবরের ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি একটি নৌকায় একটি স্টারলিংক ডিভাইস খুঁজে পেয়েছে, যা আনুমানিক ৩ বিলিয়ন পাউন্ডের মেথামফেটামাইন পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়