ভারতের মহারাষ্ট্রে বাবা-ছেলে এক প্রতিবেশীকে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য থানায় যায়। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজ্যের নাসিক জেলার দিন্দোরি তালুকের নানাশি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং তার ছেলেকে আটক করে।
পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী সুরেশ বোকের সঙ্গে প্রতিবেশী গুলাব রামচন্দ্র ওয়াঘমারের বিরোধ চলছিল। মাধেমধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে ছোটখাটো অশান্তি হত। তবে বুধবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুরেশের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। সুরেশের সন্দেহ তার কন্যাকে পালাতে সাহায্য করেন রামচন্দ্র। আর সেই সন্দেহের বশেই রামচন্দ্রের সঙ্গে বুধবার ঝামেলার সূত্রপাত। প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। তার পর তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়।
অভিযোগ, হঠাৎ ধারালো অস্ত্র নিয়ে রামচন্দ্রের ওপর হামলা চালান সুরেশ ও তার ছেলে। তার পর তার মাথা কেটে ফেলেন। এরপরই নির্যাতিতার মাথা ও অস্ত্র নিয়ে নানাশি থানায় যান তারা।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা বোকের বাড়ি ভাঙচুর এবং তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তীব্র উত্তেজনার মধ্যে, স্থানীয় পুলিশ কর্মী এবং স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (এসআরপিএফ) এর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
রামচন্দ্রের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বোকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার ছেলেকে আটক করা হয়। নিরাপত্তার কারণে দু’জনকেই দিন্দোরি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উৎস: দেশরুপান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :