শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে খ্রিষ্টান নেতাদের চিঠি

ভারতে খ্রিষ্টানদের ওপর ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ৪০০ জনের বেশি জ্যেষ্ঠ খ্রিষ্টান নেতা ও ৩০টি চার্চ। এই আবেদন তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এই চিঠি পাঠানো হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। চিঠিতে বলা হয়, খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে এবং অসহিষ্ণুতার মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে খ্রিষ্টানদের অন্তত ১৪টি সমাবেশে হামলা, সহিংসতা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে।

ইভানজেলিক্যাল ফেলোশিপ অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে ৭২০ টিরও বেশি সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে ইউনাইটেড ক্রিশ্চিয়ান ফোরাম ৭৬০টি মামলা নথিভুক্ত করেছে।

তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, দেশে ধর্মান্তরকরণবিরোধী আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বাড়ছে, ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পরিমাণ বাড়ছে এবং দলিত খ্রিষ্টানদের তফসিলি জাতির মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

নেতারা মণিপুরের চলমান সংঘর্ষ নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলমান সহিংসতায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে মণিপুরে। ৩৬০টি গির্জা ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলোকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে।

নিয়মিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এবং প্রতিটি নাগরিকের ধর্ম পালনের অধিকার সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

নেতারা তাঁদের আবেদনে বলেন, ‘ভারতের নৈতিক কাঠামো, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক ঐক্যের জন্য সকল ধর্মের অন্তর্ভুক্তি ও সম্প্রীতি অপরিহার্য।’

এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী খ্রিষ্টান নেতাদের মধ্যে আছেন— মাস আব্রাহাম, ডেভিড ওনেসিমু, জোয়াব লোহারা, রিচার্ড হাওয়েল, মেরি স্কারিয়া, সেডরিক প্রকাশ এস. জে. , জন ডায়াল, প্রকাশ লুইস এস. জে. , জেলহো কিহো, ই. এইচ. খারখংগর, অ্যালেন ব্রুকস, কে. লসই মাও, অখিলেশ এডগার, মাইকেল উইলিয়ামস, এ. সি. মাইকেল ও বিজয়েশ লাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়