শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০১ রাত
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাংলাদেশি সন্দেহে ভিন রাজ্যে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে’, মোদিকে অধীরের চিঠি

‘বাংলাদেশি সন্দেহে ভিন রাজ্যে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে’, মোদিকে অধীরের চিঠি

হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদন: কলকাতার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরক কাছে এক চিঠিতে লিখেছেন, ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি দেশের বৃহত্তম প্রদেশ ছিল। সেই সময় থেকেই বহু বাংলাভাষী মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসতি স্থাপন করে আসছেন। 

বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে ভারতে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। এই অবস্থায় অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু, সেই অভিযানের নামে দিল্লি এবং অন্য রাজ্যে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী পড়ুয়া ও পরিবারগুলিকে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে হস্তক্ষেপের আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরের দাবি, অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে এই সমস্ত পড়ুয়া এবং পরিবারকে টার্গেট করা হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়।

অধীর চৌধুরী চিঠিতে লিখেছেন, ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি দেশের বৃহত্তম প্রদেশ ছিল। সেই সময় থেকেই বহু বাংলাভাষী মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসতি স্থাপন করে আসছেন। এমনকী ১৯১১ সালে যখন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়, তখনও বিপুল সংখ্যক বাঙালি অফিসার দিল্লিতে গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাদের বংশধররা এখনও দিল্লিতেই বসবাস করে।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ অস্থির হওয়ার পর থেকে বাংলাভাষী পড়ুয়াদের সঙ্গে স্কুলে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের স্কুলে বাকিদের সঙ্গে আলাদা করা হচ্ছে। দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের পিতামাতা এবং জন্মস্থল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এভাবে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। 

কংগ্রেস নেতা বলেন, দিল্লি পুরসভা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করার জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এরফলে বহু বাঙালি পরিবারকে বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যার ফলে পরিবারগুলি সমস্যায় পড়ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লি এবং অন্যান্য জায়গায় বাংলাভাষী ছাত্রদের টার্গেট করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ১৭৫ জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, তাদের বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না। এছাড়া পুলিশ প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। জাল নথি তৈরির জন্য আরও ৬ জনকেও আটক করা হয়।  

অধীর চৌধুরী চিঠিতে আরও লিখেছেন, যে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, পশ্চিম দিনাজপুর এবং ২৪ পরগনা জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক কাজের জন্য দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে থাকেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, প্রকৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হোক তবে পশ্চিমবঙ্গের কোনও নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি না করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়