এল আর বাদল: দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান আরও কঠোর করা হয়েছে। বাইরের দিল্লি এলাকায় পরিচালিত এক তল্লাশি অভিযানে ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এদের কেউই বৈধ নথি ছাড়াই সেখানে বসবাস করছিলেন। - ইন্ডিয়া টুডে
রোববার (২২ ডিসেম্বর) পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দিল্লির বাইরের এলাকাগুলোয় তাদের ১২ ঘণ্টার এ যাচাই অভিযান শুরু হয়। যারা বৈধ নথিপত্র ছাড়া অবস্থান করছেন, তাদের শনাক্ত ও আটক করতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত করতে এবং তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে বিশেষ ইউনিট ও জেলা ফরেন সেল গঠন করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক ডোর-টু-ডোর তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করা হয়েছে।
তল্লাশি অভিযানের সময়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নথি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ দলগুলিকে সন্দেহভাজনদের জন্মস্থানে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হয়েছে বৈধ নথি নেই। এই পর্যায়ে তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) রবি কুমার সিং সে সময় বলেছিলেন, অভিযানে এক হাজার জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে শনাক্ত এবং কালিন্দি কুঞ্জ ও হযরত নিজামউদ্দিন এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব ব্যক্তি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল আহাদ (২২) ও মোহাম্মদ আজিজুল (৩২)।
দিল্লির মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন দিল্লির স্কুলগুলোতে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিশু পড়ালেখা করছে কি না, সেটি চিহ্নিত করার আদেশ জারি করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আহাদ জানিয়েছেন, তার বাড়ি সিলেট। তিনি কাজের সন্ধানে বাংলাদেশি এজেন্টের সহায়তায় গত ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে আজিজুলের বাড়ি ঢাকা। তিনি ২০০৪ সালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন বলে স্বীকার করেছেন। এরপর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করে আসছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :