শিরোনাম
◈ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ ৫-১০ বছর সময় লাগবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর রিকভারিতে: গভর্নর ◈ নগদ জমা সংরক্ষণের হার কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ স.মকামিতার অভিযোগ নিয়ে যা বললেন তাসনিম জারা ◈ বাংলা একাডেমি অবশেষে মেলায় বই বিক্রির হিসাব জানালো ◈ সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম কোথায় আছেন? এই বিষয় যা জানাগেল ◈ ক্রিকেটার রোহিত শর্মাকে কুকুর বলেছিলেন কঙ্গনা, বললেন কংগ্রেসের মুখপাত্র ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী? যা বললেন ব্যারিস্টার পার্থ ◈ সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার ◈ কারাগারে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের অভিযোগ, যা বলছেন ডিআইজি প্রিজন্স

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্দুক ঠেকিয়ে সরকারি চাকরিজীবীকে অপহরণের পর বিয়ে, এরপর...

অবনিশকে জোর করে ধরে রাখা হয়েছে

ভারতের বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় সম্প্রতি উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষক হন অবনিশ কুমার। এরপর গতকাল শুক্রবার তিনি স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই কয়েকজন তার পথরোধ করে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত এক ডজন অজ্ঞাত ব্যক্তি অবনিশের দিকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে। এরপর তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জোরপূর্বক এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই তরুণীর সঙ্গে অবনিশের চার বছরের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।  

বিহারের বেগুরসারাই জেলার সুধাকর রাইয়ের ছেলে অবনিশ কুমার। তাকে লাখিসারাই জেলার গুঞ্জন নামের এক তরুণীর আত্মীয়রা অপহরণ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবনিশ এবং গুঞ্জনের চার বছরের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি সরকারি চাকরি পাওয়ায় অবনিশ গুঞ্জনকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।  

গুঞ্জনের অভিযোগ, তাদের দুইজনের সম্পর্ক অনেক সিরিয়াস ছিল। তারা অনেক সময় বিভিন্ন হোটেলে ছিল এবং অবনিশের বাসায়ও গিয়েছিলেন। গুঞ্জন আরও দাবি করেছেন, অবনিশ তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করবে। 

গুঞ্জন বলেন, আমাদের চার বছরের সম্পর্ক কিন্তু আমি যখন তার কথা বাড়িতে জানালাম এবং তাকে বিয়ের কথা বললাম, সে তা প্রত্যাখ্যান করে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপরেই অবনিশকে অপহরণ করা হয় এবং জোরপূর্বক তাকে গুঞ্জনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এনিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অবনিশকে কয়েকজন ধরে আছে এবং গুঞ্জন কনের সাজে আছেন।

তবে তাদের বিয়ের পরে আরেক সমস্যা শুরু হয়েছে। বিয়ের পর গুঞ্জন তার পরিবারকে নিয়ে অবনিশের বাড়িয়ে যায়। অবনিশ তার বাড়িয়ে যাওয়ার পর পালিয়ে যায়। যখন গুঞ্জনের পরিবার অবনিশের বাড়িতে যায় তখন অবনিশের পরিবার তাদের গ্রহণ করেনি। এরপর বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গুঞ্জন। 

এদিকে অবনিশ দাবি করছেন, গুঞ্জনের সঙ্গে তার কোনো রোম্যান্টিক সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেছেন, গুঞ্জনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। সে আমাকে বারবার বিরক্ত করেছিল।

অবনিশের অভিযোগ, ঘটনার দিন কয়েকজন আমায় অপহরণ করে। তারা আমায় মেরেছে এবং জোর করে বিয়ে দিয়েছে। অবনিশও এরই মধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়