শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংবিধান সংস্কার নিয়ে ইন্ডিয়া টুডেকে যা জানালেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ

সংবিধান সংস্কার নিয়ে ইন্ডিয়া টুডেকে যা জানালেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ

সংবিধান সংস্কার করে সাধারণ ভাষায় লেখার কথা জানিয়েছেন সংস্কার কমিশনের প্রধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেছেন, সংবিধানকে আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক করার চেষ্টা করবেন তারা।সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলী রিয়াজ বলেন, কিছু ধারা পুরোপুরি বাদ বা পরিবর্তন করতে হবে, অন্য কিছু ক্ষেত্রে কিছু শব্দ পরিবর্তন করা যথেষ্ট হবে। আমাদের কাজের লক্ষ্য হল সংবিধানকে সরল ও সহজ করা। শেষ পর্যন্ত, এটি জনগণের সংবিধান। যদি আইনের জটিল ভাষা এবং জটিলতা দিয়ে এটি কঠিন ভাষায় লেখা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তা বুঝবে না। এজন্যই আমাদের সুপারিশ হবে এটি সহজ এবং সরল রাখা।

সংবিধান সংস্কার কমিশন কমিশন জন্য কোন ধরনের সংসদের সুপারিশ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রিয়াজ বলেন, আমরা যেসব অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে আমরা যেন দ্বিকক্ষিবিশষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করি, যার অর্থ হচ্ছে আইনসভায় দুটি আলাদা সংসদীয় কক্ষ থাকবে, যেমন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতে রয়েছে। আমরা বিভিন্ন দেশের এই ব্যবস্থাটি অধ্যয়ন করেছি। যুক্তরাষ্ট্রে, দুটি কক্ষ সমান, তবে ভারতে রাজ্যসভার হচ্ছে উচ্চ কক্ষ আর লোকসভা হচ্ছে নিম্নকক্ষ। আমরা এগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছি এবং আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ সময়মতো আসবে।

তবে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতেই হবে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তিনি বলেন, সংসদের ফ্লোর ক্রসিং করে এটি সংসদের সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দলের বিপক্ষে ভোট দিলে, সদস্যগণ তাদের আসন হারিয়ে ফেলে। এই ব্যবস্থা শাসকদলকে সহায়তা করে অনুচ্ছেদটিকে রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতে যাতে সংসদ কখনোই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব দিতে পারবে না। এটা পরিবর্তন করতে হবে। সদস্যদের অবশ্যয় তাদের স্বাধীন ইচ্ছা প্রকাশের জন্য ক্ষমতায়িত করতে হবে যেন শাসকরা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।

কমিশন কীভাবে কাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশন প্রধান বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ৪৬ হাজার পরিবারের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ জন সদস্য এবং ৯ জন গবেষক রয়েছেন, যারা স্বেচ্ছায় কাজ করছেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলি খতিয়ে দেখার জন্য। এ ছাড়া জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলির সংবিধানগুলি পর্যালোচনা করেছি, যাদের জনসংখ্যা এক কোটি বা তার বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়