কাতারের সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা দেখে মধ্যপ্রাচের সৌদি আরবও উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জানাতে। মূলত ক্রীড়া কূটনীতির মাধ্যমে নিজেদের পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ চায় সৌদি আরব। এরমধ্যে বুধবার জানা গেছে, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব।
আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।কারণ বিশ্ব মুসলিমদের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত সৗেদি আরব বিশ্বকাপ আয়োজনে বিশেষ করে মদপান, নারী পুরুষের নাচগান, বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার এবং সমকামী ইস্যুতে নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে।
গত মাসে সৌদি ফুটবলের অফিসিয়ালদের কাছে এলজিবিটিকিউ সমর্থকদের বিশ্বকাপের সময় দেশটিতে স্বাগত জানানো এবং নিরাপত্তা প্রদানসহ বেশকিছু বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছে ইংলিশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা এফএ। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ নাকি এ নিশ্চয়তা দিয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে গোল ডট কম।
অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কাড়ি-কাড়ি টাকা খরচ করে রোনালদো-নেইমার- বেনজেমার মতো তারকা ফুটবলারদের নিজেদের লিগে সফলতার সঙ্গে ভিড়িয়েছে সৌদি আরব। তারপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং স্প্যানিশ লা লিগার মতো সৌদি আবরের লিগ নিয়ে আলোচনা হয় গোট ফুটবল বিশ্বে। এরপরই বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব চায় সৌদি আরব। তার জন্য সমকামী ফুটবল দর্শকদের নিরাপত্তা দিতেও রাজি হয়েছে দেশটি।
এক বিবৃতিতে এফএ এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে, ‘আমরা (সৌদি আরব)কে অনুরোধ করেছিলাম যে, ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে সব সমর্থকের 'নিরাপত্তা ও স্বাগত' নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিক – যার মধ্যে এলজিবিটিকিউ প্লাস ভক্তরাও অন্তর্ভুক্ত। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা সব ভক্তের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাগতপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ফুটবলকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত করার অঙ্গীকার করে এফএ সেই বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘ফুটবল একটি বৈশ্বিক খেলা এবং এটি সবার জন্য। আমাদের বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি মানে হলো সবাইকে সম্মান করা, যার মধ্যে সব ধর্ম ও সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত।’
আর বিশ্বকাপের আয়োজকস্বত্ব পাওয়া নিয়ে সৌদি আরব বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে বিশ্বকাপ আয়োজন ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি অনুঘটক হতে পারে, যা সর্বোত্তমভাবে আয়োজক দেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। আমরা ফিফা এবং উয়েফা-এর সঙ্গে কাজ করব, যাতে সবার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়।’ উৎস: যুগান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :