শিরোনাম
◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ◈ উপসচিব পুলে কোটা: প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৩ বিকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩৪ শতাংশ ভারতীয় ফেঁসে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হলে  

যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ডে জন্ম নেওয়ার শর্তে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্মগত অধিকার বাতিল করার কথা জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে ফেঁসে যেতে পারেন দেশটিতে বসবাসকারী ৩৪ শতাংশ ভারতীয়। প্রবাসী বাবা–মা অন্য দেশের নাগরিক হলেও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই তাদের নবজাতক মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান রয়েছে আমেরিকায়।

মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে বহাল এ ঐতিহাসিক বিধান। তবে এই শতবর্ষী বিধান সংশোধন করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিলের কথা বারবার বলছেন নবনির্বাচিত (প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার এই জোর তৎপরতা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে দেশটিতে বসবাসরত এক-তৃতীয়াংশ প্রবাসী ভারতীয়দের।

২০২২ সালে মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটির অন্যতম জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়–আমেরিকান বসবাস করছেন। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ, অর্থাৎ ১৬ লাখের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। ফলে তারা আইনগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। যদি ট্রাম্প এই আইনটি বাতিল করেন, তাহলে এই ১৬ লাখ ভারতীয়–আমেরিকান নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, “যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী এবং নাগরিকত্বের শর্ত পূরণকারী সব ব্যক্তি দেশটির এবং যে অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি ওই রাজ্যের নাগরিক হবেন।”

তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এই আইন ‘হাস্যকর’। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই আইন পরিবর্তন করেননি ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর গত শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েই যেসব নির্বাহী আদেশ দেবেন তার মধ্যে এটিও থাকবে।

ট্রাম্প গত শুক্রবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি (প্রবাসী) পরিবারগুলো ভাঙতে চাই না। তাই একমাত্র উপায়, সবাইকে একসঙ্গে তাদের (উৎস) দেশে ফেরত পাঠানো। অর্থাৎ, আইনি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের নাগরিকদেরও পরিবারের সঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে আইনজীবী রাসেল এ স্টেমেটস বলেন, ট্রাম্প ও তার অনুসারীরা মনে করেন, সব দেশে এমন বিষয় নেই। এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। মার্কিন নাগরিক হওয়ার কঠোর মানদণ্ড থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।

একে ‘বার্থ টুরিজম’ (জন্ম পর্যটন) হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প এই নীতির বিরোধিতা করে বলেন, অনেকে সন্তানকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বানাতে এখানে এসে সন্তান জন্ম দেন। পরে তারা নিজ দেশে ফিরে যান।

নাম্বারস ইউএসএ’র গবেষণা পরিচালক এনরিক রুয়ার্ক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, “শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে একটি শিশু জন্মই নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা হওয়া উচিত নয়।”

তবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না। এভাবে জন্মসূত্রে নাগরিকদের বাছাই প্রক্রিয়ায় পড়ে অনেক নাগরিকই হয়রানির শিকার হতে পারেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের ২০১১ সালের একটি নথি অনুযায়ী, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে এটি সবার ওপর প্রভাব ফেলবে। মার্কিন বাবা–মায়েদের জন্য তাদের শিশুদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তথ্যসূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়