শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:১৮ বিকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩০০ বিষধর মাকড়সাসহ বিমানবন্দরে ধরা পড়ল পাচারকারী!

বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করায়।

২৮ বছর বয়স্ক দক্ষিণ কোরীয় এক নাগরিককে লিমার জর্জ শ্যাভেজ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর আটকানো হয় গত ৮ নভেম্বর। কারণ কর্তৃপক্ষ তাঁর পেটের অংশটি অনেক বেশি স্ফীত অবস্থায় দেখতে পান। গত ১৩ নভেম্বর দেশটির ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস (সেরফর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। আরও বলা হয়, একটি অনুসন্ধানে তার পেটের সঙ্গে আটকানো জিপলক ব্যাগের ভেতরে প্রাণীগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সা ছাড়া আর যেসব প্রাণী এ সময় উদ্ধার করা হয় সেগুলো হলো ১১০টি সেন্টিপেড এবং শতপদী এবং নয়টি বুলেট প্যান্ট।

পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পেরু থেকে ফ্রান্স হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে পেরুর পরিবেশগত অপরাধবিষয়ক প্রসিকিউটর তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পেরুভিয়ান আমাজনের মাদ্রে দে দিওস এলাকা থেকে এই পোকামাকড়গুলো সংগ্রহ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে প্রাণীগুলো।

বিজ্ঞপ্তিতে সেরফরের একজন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ট্যারানটুলাকে একটি বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করেন।

‘এগুলো অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ডলার মূল্যের অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচারের অংশ।’ বলেন সিলভা।

বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে পাচারের সমস্যায় থাকা পেরুই দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র দেশ নয়।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ২৩২টি ট্যারানটুলা, ৬৭টি তেলাপোকা, ৯টি মাকড়সার ডিম এবং সাতটি বাচ্চাসহ একটি কাঁকড়া বিছা উদ্ধার করে। এগুলো বোগোতার এল ডোরোডা বিমানবন্দরে এক ব্যক্তির স্যুটকেস থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এদিকে এ বছরের সেপ্টেম্বর কর্মকর্তারা হংকংয়ের উদ্দেশে জাহাজে করে পাচারের চেষ্টা করা প্রায় তিন হাজার ৫০০ হাঙরের ফিনের একটি চালান বাজেয়াপ্ত করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়