শিরোনাম
◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা ◈ সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, ব্যয় কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: ফলকার টুর্ক ◈ রমজানের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন ট্রাম্প ◈ সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের অভিযোগের জবাব দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ নুরুল হক নুরের নতুন দলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গ, যা বলল গণ অধিকার পরিষদ

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫০ রাত
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ঝাড়খন্ডের মাদ্রাসাগুলোতে : জেপি নাড্ডা

ঝাড়খন্ডের মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ রোববার রাজ্যের বোকারোতে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এ সময় তিনি ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ড, গ্যাস সংযোগ—এমনকি জমি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন জেএমএম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমি একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েছি। এতে বলা হয়েছে, ঝাড়খন্ডের মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাদের আধার কার্ড, ভোটার আইডি, গ্যাস সংযোগ এবং রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপর হেমন্ত সোরেন সরকার তাদের জমি দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হেমন্ত সোরেন ঝাড়খন্ডের জল, জঙ্গল, জমিন লুট করেছেন। এখানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা এখানে এসে উপজাতি নারীদের বিয়ে করছে এবং তাদের জমি দখল করছে। শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ অনুপ্রবেশ থামাতে পারেন।’

জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস জোটকে ‘দুর্নীতিবাজ নেতাদের পরিবার’ বলে অভিহিত করেন জেপি নাড্ডা।

তিনি হেমন্ত সোরেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের নেতারা হয় কারাগারে আছেন, নয়তো জামিনে মুক্ত। আপনি নিজেও জামিনে বাইরে আছেন। তবে আবারও কারাগারে যাবেন। আপনার নামে পাঁচ হাজার কোটি রুপির খনি দুর্নীতি, ২৩৬ কোটি রুপির জমি দুর্নীতিসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আছে।’

নাড্ডা আরও বলেন, ‘সোরেন সরকার ঝাড়খন্ডে বিভাজনের রাজনীতি করে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা শিগগিরই ক্ষমতা হারাবে এবং এখানে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।’

ওবিসি বা অনগ্রসর শ্রেণি মানুষদের বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নাড্ডা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভায় ২৭ জন ওবিসি মন্ত্রী আছেন। অথচ রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটিতে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ বা ‘ওবিসি’র কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ডে ১৯ লাখ কোটি কোটি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখানে আরও ১০ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়