বিমানে রিয়াধ থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর সিবিআই বরকত আলিকে গ্রেফতার করে এবং তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
২০১১ সালের বাল্লি দাঙ্গায় অন্যতম অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে দক্ষিণ গোয়ায় দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যার বলি হতে হয় দুই আদিবাসী তরুণকে। তাঁদের জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়।
সেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এত দিন পলাতক ছিলেন। অবশেষে ঘটনার ১৩ বছর পর সেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করল ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম বরকত আলি। এত দিন তিনি বহাল তবিয়তে সৌদি আরবে বসবাস করছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়।
সূত্রের দাবি, সেই নোটিশের ভিত্তিতেই বরকত আলিকে গ্রেফতার করে রিয়াধ পুলিশ। এবং তারপর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে সোজা পাঠানো হয় এদেশে।
বিমানে রিয়াধ থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর সিবিআই বরকত আলিকে গ্রেফতার করে এবং তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এরপর নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে, দাঙ্গায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দক্ষিণ গোয়ার সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে পেশ করে সিবিআই এবং বরকত আলিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বাল্লি দাঙ্গা মামলায় এখনও পর্যন্ত গোয়া সরকারের তরফে মোট ন'টি মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তদের যে নামের তালিকা রয়েছে, বরকত আলি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
বরকত আলি-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, খুন-সহ ভারতীয় দণ্ড বিধি (আইপিসি)-এর একাধিক কঠোর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের মে মাসে বাল্লি এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশসন অ্যালায়েন্স-এর তরফে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। যাকে ঘিরে পরবর্তীতে অশান্তি ছড়ায় এবং দুই আদিবাসী তরুণকে মর্মান্তিকভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দক্ষিণ গোয়া প্রধান জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ইরশাদ আঘা এই ঘটনায় ১৩ জন অভিযুক্তকে খালাস করে দেন। সিবিআই-এর চার্জশিটে ওই ১৩ জনের নাম ছিল এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দুই আদিবাসী তরুণের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল।
এই প্রেক্ষাপটে বরকত আলিকে সৌদি আরব থেকে পাকড়াও করে ভারতে আনার ব্যবস্থা করা হলেও আদৌ তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। এক্ষেত্রে আগামী দিনে সিবিআই-এর তরফে আদালতে কী কী তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট মহলের নজর থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :