শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে, যা জানাগেল ◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা ◈ সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, ব্যয় কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: ফলকার টুর্ক ◈ রমজানের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন ট্রাম্প ◈ সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের অভিযোগের জবাব দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০৩ রাত
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন চালু

গত কয়েক দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর রাজ্য। জিরিবাম, পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুরসহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ছয়টি থানা এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা আরও বাড়ানো হয়েছে। সেখানে নতুন করে চালু করা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ বা ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ (আফস্পা)।

গত মাসের শুরুতেই মণিপুরে ছয় মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পার মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবামসহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার আরও ছয়টি থানায় বলবৎ হলো সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। ওই ছয়টি এলাকাকে ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং ও জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছয়টি থানা এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। ৭ নভেম্বর গভীর রাতে জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতকারী। সারা রাত ধরে চলে লুটপাট, অত্যাচার এবং দুষ্কৃতকারীদের তাণ্ডব। গ্রামের অন্তত ১৭টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্বামীর সামনেই ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তিন সন্তানের মা এক নারীকে।

এরপর মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায়ের এক নারীকেও গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কুকি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। শনিবার বিষ্ণুপুর জেলায় একটি ধান খেতে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র ব্যক্তিরা ওই নারীকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসব ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত জিরিবাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়