শিরোনাম
◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজে, অনিশ্চয়তায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ◈ মহিষের বীর্য বিক্রি করে মাসে আয় ৭ লাখ টাকা! ◈ আজিমপুরে দিনেদুপুরে ডাকাতি করতে ঢুকে মালামালের সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা ◈ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড ◈ শিল্পাঞ্চলসমূহে সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ◈ শেখ হাসিনার বক্তব্যে অস্বস্তিতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো, জবাব চাওয়া হলে উত্তর মেলেনি ◈ বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন নুরুল হক নুর ◈ ১৫ বছরের শাসনকে কয়েক সপ্তাহে মোকাবিলা করা সহজ নয়: আসিফ নজরুল ◈ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ, কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার? ◈ ফেসবুকে ‘হারপিক’ নিয়ে তোলপাড়, জানা গেল কারণ

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবার মারধরে মৃত্যু, ২৫টি হাড় ভাঙা ছিল ফুটফুটে শিশুটির

দিন দিন যেন আরও সহিংস উঠছে মানুষ। কিছুদিন পরপরই এমন সব ঘটনা সামনে আসছে, যাতে প্রশ্ন উঠছে, মায়া-মমতা-ভালোবাসা কি হারিয়ে যেতে বসেছে? আমাদের মনুষ্যত্ববোধ কি বিলুপ্তির পথে? শিশু হত্যার নির্মম এক ঘটনা সম্প্রতি সামনে আসার পর আরও জোরাল হয়েছে এসব প্রশ্ন।

১০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-পাকিস্তানি এক শিশুর বাবা বুধবার (১৩ নভেম্বর) স্বীকার করেছেন, তিনি তার মেয়েকে হত্যা করেছেন। শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার পরও তাকে আঘাত করতে থাকা ওই ব্যক্তি আবার এ-ও দাবি করেছেন, তিনি নিজের মেয়ের ‘ক্ষতি করতে চাননি’।

 বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে হৃদয়বিদারক এ ঘটনার খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা শরীফ নামের শিশুটিকে ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওকিং-এ তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেসময় তার শরীরের অনেক হাড় ভাঙা ছিল; এমনকি শরীরে পোড়া এবং কামড়ের চিহ্নও ছিল।
 
জানা যায়, শিশুটির লাশ পাওয়ার একদিন আগে তার বাবা উরফান শরীফ (৪২), তার স্ত্রী বেনাশ বাতুল (৩০) এবং মেয়েটির চাচা ফয়সাল মালিককে (২৯) সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। তারা তিনজনই সারাকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
 
তবে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় উরফান শরীফ এর আগে সারার সৎ মা বাতুলকে দোষারোপ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি তাকে হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করেন। 
 
 কিন্তু বুধবার তার স্ত্রীর আইনজীবীর জিজ্ঞাসাবাদে পেশায় ট্যাক্সিচালক উরফান বলেছেন, যা ঘটেছে তার ‘সম্পূর্ণ দায়’ তিনি নিয়েছেন। তবে সারাকে আঘাত করার উদ্দেশ্য তার ছিল না বলেও দাবি করেছেন। 
 
সারাকে মারধর করে হত্যা করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ, সে আমার কারণে মারা গেছে।’
 
এসময়, ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারধর, গলা টিপে ধরা এবং সারার ঘাড়ের হাড় ভেঙে দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন উরফান।
 
তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, গত ৮ আগস্ট সারাকে ব্যাপক মারধর করেন যখন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল। উরফান বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি। প্রতিটি জিনিসই মেনে নিচ্ছি।’

তবে হত্যার অভিযোগে দোষী নন দাবি করে তিনি আদালতকে বলেছেন, ‘আমি তাকে (সারাকে) আঘাত করতে চাইনি। আমি তার ক্ষতি করতে চাইনি।’
 
গত বছরের ১০ আগস্ট সারার লাশ লন্ডনে পাওয়া যায়। আর ইসলামাবাদ গিয়ে তার বাবা ব্রিটিশ পুলিশকে ফোন করে জানান, তিনি তার মেয়েকে ‘অত্যাধিক’ মারধর করেছেন। সারার লাশের পাশে একটি লিখিত স্বীকারোক্তিও পাওয়া যায়। পরে পোস্টমর্টেম পরীক্ষায় দেখা গেছে, সারার শরীরের অন্তত ২৫টি হাড় ভাঙা। এছাড়া আরও অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
 
তবে ঠিক কী কারণে এমন হত্যাকাণ্ড, তা জানা যায়নি।  সূত্র: এনডিটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়