মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে ঢেলে সাজাবেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে 'ডিপার্টমেন্ট অব গভমেন্ট ইফিশিয়েন্সি' নামে নতুন এক বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। গতকাল মঙ্গলবার 'ডোজ' নামের এই বিভাগ তৈরি করেন ট্রাম্প।
মাস্ক ও রামাস্বামীকে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি এই উদ্যোগকে 'আমাদের আমলের ম্যানহাটন প্রজেক্ট' বলে অভিহিত করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির অত্যন্ত গোপনীয় প্রকল্পের নাম ছিল ম্যানহাটন প্রজেক্ট।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, 'একসঙ্গে, এই দুই চমৎকার আমেরিকান আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্রকে আরও কার্যকর করে তুলবেন। বাড়তি নীতিমালা কমিয়ে আনা, অহেতুক ব্যয় কমানো ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলোর পুনর্গঠনের পথকে প্রশস্ত করবেন।'
নতুন সরকারি পদ গ্রহণের পর ব্যবসায়ী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে মাস্কের ভবিষ্যৎ কি, সেটা নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট ও সিলিকন ভ্যালিতে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
এই ঘোষণার অল্প সময় পর, আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ পূর্বাভাস দেয়, 'প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে টেসলা ও স্পেসএক্স ওয়াল স্ট্রিটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের এই দুই ভূমিকায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।'
তবে একইসঙ্গে সরকার ও ব্যবসা খাতে পদচারণায় মাস্কের জন্য সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। 'ডোজ' বিভাগের কার্যক্রমে তার ব্যবসায় পড়তে পারে প্রভাব।
এই বিভাগের মাধ্যমে ট্রাম্প আরও যেসব লক্ষ্য পূরণ করবেন তার মধ্যে আছে 'বাড়তি নীতিমালা কমানো'। এ ধরনের কিছু নীতিমালার বেড়াজালে আটকে আছে টেসলা। একইসঙ্গে টেসলার বিরুদ্ধে কিছু সরকারি বিভাগের তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিশ্লেষকরা অধীর আগ্রহে এই প্রক্রিয়াগুলোর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা তহবিলে বড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছিলেন মাস্ক।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী ও বিনিয়োগকারী। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে প্রাথমিক বাছাইয়ে হেরে গিয়ে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :