শিরোনাম
◈ আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটি-হোটেলেও ছিল (ভিডিও) ◈ মানুষ পারে না এমন কিছু নেই, তাই মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে হবে:  মিজানুর রহমান আজহারী  ◈ শেখ হাসিনার পতন যেভাবে উঠে এলো পাঠ্যবইয়ে, আরও যত পরিবর্তন ◈ "হাঁটে হাড়ি ভাঙা" প্রথম পর্ব : শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস করলেন সোহেল তাজ ◈ সাকিব আল হাসানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পেতে বিসিবি চেষ্টা করবে: ফারুক আহমেদ  ◈ সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দিনে ১৮৫ রানে অলআউট ভারত ◈ এবার শেখ হাসিনা ও চিন্ময় দাস প্রসঙ্গে যা বলছে ভারত ◈ রাঙ্গামাটির বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে ইউপিডিএফের দুইটি ক্যাম্পের সন্ধান ◈ ম‌হেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে অব্যাহতি ◈ নির্বাচনের দাবিতে গরম হচ্ছে রাজনীতির মাঠ

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ০২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘হোটেলে একসঙ্গে থাকা মানে শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দেয়া নয়’

দুইজন নারী ও পুরুষের একসঙ্গে হোটেলে থাকার অর্থ শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দেয়া নয়। ফলে হোটেলে একসঙ্গে থাকলেও ধর্ষণের অভিযোগ আমলযোগ্য হবে। একটি ধর্ষণ মামলার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণই দিয়েছেন ভারতের বম্বে হাইকোর্ট। সম্প্রতি ওই ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালত রায় দিয়েছিলেন, যেহেতু ওই তরুণী অভিযুক্তের সঙ্গে স্বেচ্ছায় হোটেলে যেতে সম্মত হয়েছিলেন, ফলে ধর্ষণের অভিযোগ খাটে না। বম্বে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের মার্চে। এক ব্যক্তি এক তরুণীকে বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে একটি হোটেলে ডাকেন। দুজনের নামেই হোটেলের একটি কক্ষ বুক করা হয়েছিল। ওই তরুণীর অভিযোগ, হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত। ঘটনার কথা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। কোনো মতে সেখান থেকে পালিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন তরুণী। এই মামলা নিম্ন আদালতে উঠলে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারক। বিচারক যুক্তি দেন, যেহেতু ওই তরুণী স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে হোটেলে গিয়েছিলেন, ফলে শারীরিক সম্পর্কে তার সম্মতি ছিল।

পরে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তরুণী। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, নিম্ন আদালতের এই রায় ত্রুটিপূর্ণ। বিচারপতি বলেন, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী একসঙ্গে হোটেল বুক করেছেন, এর সপক্ষে প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, ভুক্তভোগী শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছেন। দুজনের একসঙ্গে হোটেলে যাওয়া ও হোটেলের ভেতরে যা ঘটেছে—দুটিকে গুলিয়ে ফেলেছেন নিম্ন আদালত। ঘটনার পর যেভাবে কাঁদতে কাঁদতে ওই তরুণী হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সেদিনই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাতে স্পষ্ট যে, শারীরিক সম্পর্কে তরুণীর সম্মতি ছিল না। পুলিশকে ওই তরুণী যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেই একই তথ্য ধরা পড়ে এক হোটেল কর্মীর বয়ানেও।

তবে এ ঘটনায় হাইকোর্টে অভিযুক্তের যুক্তি দেওয়া হয়, ওই তরুণী তার সঙ্গে মিলেই হোটেল বুক করেছিলেন। তার একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। বিনা প্রতিবাদে তিনি তাঁর সঙ্গে হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। হাইকোর্ট এই যুক্তি গ্রহণ করেননি। নিম্ন আদালতকে এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়