শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তালেবানদের কঠোর দমনে আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমছে

আলজাজিরা প্রতিবেদন: এ এক কঠিন যুদ্ধ। আফগানিস্তানে আফিম চাষে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র জড়িত। তারপরও দেশটিতে তালেবান শাসনের কঠোর দমনের ফলে পপি রোপণের পরিমাণ পূর্ব মাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। যদিও জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে গত বছরের চেয়ে এবছর আফিম উৎপাদন ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আলজাজিরা জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি) বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলছে, ২০২২ সালে তালেবানদের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কফি চাষ তালেবান শাসনের আগে পৌঁছে যাওয়া স্তরের অনেক নীচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই বছরের চাষের এলাকা মাত্র ১২,৮০০ হেক্টর (৩১,৬২৯ একর), যা নিষেধাজ্ঞার আগে চাষ করা ২৩২,০০০ হেক্টর (৫৭৩,২৮৪ একর) থেকে একটি তীব্র হ্রাস।

ইউএনওডিসি অনুসারে, ২০২২ সালের এপ্রিলে মাদক চাষের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০২৩ সালের মধ্যে আফিম চাষে ৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের প্রধান ও মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি রোজা ওতুনবায়েভা বলেছেন, ‘এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে আফিম চাষ প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশী, অঞ্চল এবং বিশ্ব এটিকে স্বাগত জানাচ্ছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আফিম চাষাবাদ নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিরোধে টিকতে না পেরে দেশটির ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্রস্থল থেকে উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলিতে চলে গেছে, যেখানে ২০২৪ সালে ৫৯ শতাংশ চাষ হয়েছিল।
২০২৩ সালের মধ্যে এই প্রদেশে চাষাবাদ ৩৮১ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে বাদাখশানে, যা এই অঞ্চলের বেশিরভাগ আফিম উৎপাদনের জন্য দায়ী। নিষেধাজ্ঞার ফলে আফিমের দাম বেড়েছে, যার অর্থ পপি চাষ সংগ্রামী আফগানদের জন্য একটি লোভনীয় সম্ভাবনা হিসেবে রয়ে গেছে। প্রতি কেজি আফিমের দাম ৭৩০ মার্কিন ডলার যা গত কুড়ি বছরে সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছেছে। নিষেধাজ্ঞার আগে আফিমের কেজি ছিল ১শ ডলার। গত বছরও আফিমের কেজি ছিল ৪০৮ ডলার। ওতুনবায়েভা জোর দিয়ে বলেন, গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলি প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে যেনো আফিম চাষের দিকে না ঝুঁকে পড়ে সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। আমরা যদি এই আফিম চাষের জমির পরিমান হ্রাস টিকিয়ে রাখতে বা রূপান্তরটি টেকসই করতে  চাই তবে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন। 

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের অনেক কৃষক, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তারা বিকল্প ফসল থেকে একই মুনাফা তুলতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, এমনকি আইনি ফসলও একটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান, যা দ্রুত প্রয়োজন তা হচ্ছে অ-কৃষি শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর নজর দেওয়া। তার মানে বিদেশি বিনিয়োগ। 

গত মে মাসে, পপি ক্ষেত ধ্বংস অভিযানে সংঘর্ষের ফলে হিন্দুকুশ এবং আফগানিস্তানের চীনের সাথে তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সীমান্তের প্রসারিত একটি পার্বত্য অঞ্চল বাদাখশানে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। ইউএনওডিসির পরিচালক ঘাডা ওয়ালি বলেন, আফগানিস্তানে আফিম চাষ নিম্ন স্তরে রয়ে যাওয়ায়, অবৈধ বাজার থেকে মুক্ত আয়ের টেকসই উৎস বিকাশে আফগান কৃষকদের সহায়তা করার সুযোগ এবং দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা উচিত। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়