শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:২৩ বিকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা তাঁর ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার 

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা তাঁর ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

২০ বছর বয়সী ভিভান জেনা উইলসন ২০২২ সালে বাবা মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ওই সময় তিনি জেন্ডার রূপান্তর (ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া) ও নিজের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

বাবার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের অংশ হিসেবে নাম পরিবর্তনও করেছিলেন জেনা উইলসন। আর ট্রাম্পের জয়ের পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছেন তিনি। অথচ জেনার বাবা মাস্ক ট্রাম্পের একজন ঘোর সমর্থক হিসেবে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে একটি পোস্ট দেন জেনা উইলসন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভাবনাচিন্তার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি মনস্থির করে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না।’

ইলন মাস্ক ও তাঁর প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ঘরে ছয় সন্তান। তাঁদেরই একজন জেনা। রূপান্তরিত নারী জেনা আগে ছেলে ছিলেন।

এর আগে জেনা তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি থেকেও না থাকার মতো। তাঁর রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিচ্ছেন না।

এদিকে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পেছনে বেসরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘নব্য মার্ক্সবাদীদের’ দায়ী করেন মাস্ক।

জীবনীকার ওয়াল্টার ইসাকসনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মাস্ক দাবি করেছিলেন, সান্তা মনিকা শহরের ক্রসরোডস স্কুল ফর আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসই জেনা উইলসনের মাথায় ওই ‘ভাইরাস’(ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার ইচ্ছা) ঢুকিয়েছে।

মেয়ে সম্পর্কে মাস্ক বলেন, ‘ও পুরোপুরি সাম্যবাদী হওয়ার জন্য সমাজতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয় এবং ভাবতে থাকে যে ধনী মানেই খারাপ।’

মাস্কের দাবি, প্রথম সন্তান নেভাডার মৃত্যুতে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন মেয়ে জেনা উইলসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে। তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না।’

রক্ষণশীল চিন্তাবিদ জর্ডান পিটারসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবার মাস্ক সাংঘর্ষিক কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি’ এবং উইলসন ‘মৃত’।

এদিকে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনা বলেন, প্রায় চার বছর তিনি বাবার সঙ্গে কথা বলেননি। উৎস: নিউইয়র্ক পোস্ট ও প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়