ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ফলে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ত্রিপুরা আবারাও আলোচনায় এসেছে।
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে জরাজীর্ণ কাঁটাতারের বেড়ার ফায়দা তুলতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল। এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও লোকসভার সদস্য বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর মতে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার ‘অস্থির’ পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি থেকে ফায়দা লুটতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের দপ্তর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। বিপ্লব কুমারের দপ্তর গতকাল বুধবার এই চিঠি প্রকাশ করেছে। এতে অমিত শাহর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তের যে অংশে এখনো বেড়া দেওয়া হয়নি, তা দ্রুত শেষ করা হোক। চিঠিতে সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সীমান্তে বেড়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের কোনো সমস্যা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন, এখনো ২৬ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি। এই অংশে নির্মাণকাজের গতি খুবই ধীর। তিনি দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি পুরোনো সীমান্ত বেড়া সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক কমিটির সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব। চিঠিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সীমান্তের ফাঁকা অংশগুলোর সুযোগ স্বার্থান্বেষীরা গ্রহণ করতে পারে। তিনি সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন, যাতে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :