ভারতে একের পর এক ফ্লাইটে বোমা রাখার হুমকি মিলছে। ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ১০টি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক দেখা দেওয়ায় শোরগোল পড়েছে ভারতজুড়ে। তার মাঝেই বুধবার আরো দুটি ফ্লাইটে নতুন করে বোমা রাখার হুমকি ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে কে বা কারা এই বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী আকাসা এয়ার সংস্থার একটি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। মাঝ আকাশ থেকে দিল্লিতে ফিরে আসে বিমানটি। এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে মুম্বাই থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানে একই আতঙ্ক ছড়ায়।
আহমেদাবাদে অবতরণ করে বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। পরে বুধবার সকালে সেটি দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যায়। কিন্তু এসব ঘটনার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
এদিকে একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াতে উদ্বেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নায়ডু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এরপর বুধবারই আরো একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠক থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র উঠে এসেছে। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা।
গত ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ে মোট ১২টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবারও সাতটি বিমানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে দেশজুড়ে। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সকে ব্যবহার করেই ছড়ানো হয়েছে এসব বোমাতঙ্ক। তার মধ্যে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার বলেছে, ‘আমরা বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকেই বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’ লন্ডনসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।