শিরোনাম
◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোন খাদ্যের দাম কত যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়

আলজাজিরার প্রতিবেদন:  দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল উত্তর গাজা উপত্যকায় প্রায় সব খাদ্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যার ফলে প্রায় চার লাখ ফিলিস্তিনি মারাত্মক খাদ্যসংকটে পড়েছে বলে জাতিসংঘ অনুমান করছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলা ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের নির্দেশনার কারণে খাবার বিতরণ কেন্দ্র, রান্নাঘর ও বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় পরিচালিত উত্তর গাজার একমাত্র কার্যকর বেকারিটি ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে আগুনে পুড়ে গেছে। গাজার পুরো অঞ্চলজুড়ে প্রায় সাড়ে ২১ লাখ মানুষ, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে এবং প্রতি পাঁচজনের একজন সরাসরি অনাহারের সম্মুখীন।

খাদ্যের আকাশচুম্বী দাম : গাজার অধিকাংশ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার আর্থিক সামর্থ্য হারিয়েছে এবং তাদের জীবন এখন দাতব্য রান্নাঘর ও সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল। ইসরায়েলি হামলার ফলে অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় অধিকাংশ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। হাতে থাকা নগদ অর্থ ও বিনিময়ের জিনিসপত্রও প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় সেপ্টেম্বর মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তুলনা করে মারাত্মক ব্যববধান দেখা যায়।

এই দাম সরবরাহ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ওঠানামা করতে পারে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
২৫ কেজি ওজনের এক বস্তা ময়দার দাম গাজার দক্ষিণে ১৫০ মার্কিন ডলার। কিন্তু উত্তরে একই পরিমাণ ময়দার জন্য গুনতে হয় এক হাজার ডলার পর্যন্ত। যুদ্ধের আগে ৯ ডলারে পাওয়া যেত এক বস্তা ময়দা।

যুদ্ধের আগে এক ডজন ডিমের দাম ছিল সাড়ে তিন ডলার, যা এখন দক্ষিণে ৩২ এবং উত্তরে ৭৩ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনির দাম এখন দক্ষিনে ২৮ ও উত্তরে ৬০ ডলার।
এ ছাড়া উত্তরে প্রতি কেজি নন-ডেইরি গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ১২৪ ডলারে। অন্যদিকে শিশুখাদ্য উত্তরে পাওয়া যায় না বললেই চলে। আর দক্ষিণে ৩৫০ গ্রাম ওজনের এক টিন শিশুখাদ্য কিনতে গুনতে হয় ১৫ ডলার।

তাজা শাকসবজি, যেমন শসা ও টমেটো সবচেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কারণ ইসরায়েল গাজার বেশির ভাগ খামার, কুয়া ও গ্রিনহাউস ধ্বংস করে দিয়েছে। দক্ষিণ গাজায় এক কেজি টমেটোর দাম ১২ ডলার, আর উত্তরে তা ১৮০ ডলার। এক কেজি শসা কিনতে দক্ষিণে যেখানে গুনতে হয় আট ডলার, সেখানে উত্তরে দাম ১৫০ ডলার। যুদ্ধের আগে একই পরিমাণ পাওয়া যেত মাত্র এক ডলারে।

যুদ্ধের আগের তুলনায় গাজায় রান্নার তেলের দাম ১.৪ গুণ, বেগুনের দাম ১৯ গুণ, ফ্রোজেন মাংসের দাম ১৭ গুণ, পানির দাম আট গুণ বেড়ে।

যুদ্ধের আগে বেইত লাহিয়া অঞ্চলের উর্বর জমিগুলো বিখ্যাত ছিল এর মিষ্টি স্ট্রবেরির জন্য। স্থানীয়রা এগুলোকে ভালোবেসে ‘লাল সোনা’ বলে ডাকত। তবে সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, সেই একসময়কার উর্বর জমিতে এখন কেবল যানবাহনের চিহ্ন, যা কৃষি উৎপাদনের সম্পূর্ণ পতনের প্রমাণ বহন করে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়