শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 ৫০ বছরে এই প্রথম বানভাসি মরক্কো

গত ৫০ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি মরক্কোয়। কোথাও কোথাও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জলের অভাবে শুকিয়ে যাওয়া ইরিকি হ্রদের ছবিও বদলে গিয়েছে।

সাহারা মরুভূমির রূপ যেন এক লহমায় পাল্টে গিয়েছে। সৌজন্যে সাম্প্রতিক দু’দিনের প্রবল বৃষ্টি। কোথাও কোথাও মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব মরক্কো সাধারণত শুকনোই থাকে বছরভর। গ্রীষ্মের শেষের দিকে নামমাত্র বৃষ্টি হয় সেখানে। বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০ মিলিমিটারেরও কম। তবে সেপ্টেম্বরে দু’দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা দক্ষিণ পূর্ব মরক্কোয় বেশ কিছু জায়গায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের চেয়েও বেশি। মরক্কোর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একাধিক জায়গায় দৃশ্যত প্লাবনের আকার নিয়েছে।

যে সব বালিয়াড়ি সাধারণত ধূ ধূ করত, সেগুলি এখন জলমগ্ন অবস্থায়। রুক্ষ মরুভূমিতে পাম গাছগুলিও বেশ কিছু জায়গায় আংশিক জলমগ্ন। মরক্কোর ইরিকি হ্রদ জলের অভাবে প্রায় ৫০ বছর ধরে শুকনো ছিল। নাসার স্যাটেলাইট চিত্রে উঠে এসেছে সেই হ্রদও এখনও জলে ভরে উঠেছে। মরক্কোর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হোসেন ইউয়াবেব সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, গত ৩০-৫০ বছরের ইতিহাসে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোয় এতটা বৃষ্টি দেখা যায়নি। গত সেপ্টেম্বরে এই প্লাবন পরিস্থিতির কারণে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে মরক্কোয়।

এই ভারী বৃষ্টির জেরে মরক্কোয় বিভিন্ন জলাধারগুলিতে রেকর্ড পরিমাণ জল জমেছে। তবে এই ধরনের বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হোসেন মতে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণিঝড় বা এক্সট্রা ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের (ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে দূরের কোনও অক্ষাংশে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়) কারণেই এই বৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের বৃষ্টি হতে থাকলে আগামী দিনে মরক্কোয় সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে আবহাওয়া বদলে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়