শিরোনাম
◈ এবার সেনাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ◈ বিদেশে অসুস্থ হয়ে পড়া নারী শ্রমিকরা বেশির ভাগই জরায়ুর সমস্যায় ভুগছেন ◈ ১৯০ বন্দীর বিনিময় করলো রাশিয়া-ইউক্রেন আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ◈ সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যা জানাগেল ◈ নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার ◈ আ’লীগ নেতাদের কুমিল্লা সীমান্তে বৈঠকের গুঞ্জন ◈ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার : সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ◈ নিজ বাসা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা ৪-৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ◈ লালন মেলায় চুরি হওয়া ১৬ মোবাইলসহ যুবক আটক ◈ বেতন গ্রেড না বাড়ালে টিকা নয়, আল্টিমেটাম স্বাস্থ্যকর্মীদের !

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরাইলি অনেক সেনারাই যুদ্ধ করতে চাচ্ছে না, কী কারণে? (ভিডিও)

একটি শর্ত দিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানি য়েছেন দেশটির প্রায় ১৩০ জন সৈন্য। ঐ চিঠিতে তারা সতর্ক করেছেন যে, ইসরাইলি সরকার যদি গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় এবং বন্দি বিনিময়ের ব্যবস্থা না করে, তাহলে তারা আর সেনাবাহিনীতে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন না। বুধবার এই চিঠি ইসরাইলের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

ওই চিঠির বরাত দিয়ে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানো এই সৈন্যরা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা। যেমন- বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, সাঁজোয়া বাহিনী এবং আর্টিলারি বাহিনী। তারা তাদের চিঠিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের প্রতি এ বার্তা দিয়েছেন। 

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্দিদের জীবনকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যাদের অনেকেই ইতোমধ্যেই ইসরাইলি বিমান হামলায় বা উদ্ধার অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন। চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা যারা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি বা করেছি, তারা ঘোষণা করছি যে, যদি সরকার বন্দিদের বাড়ি ফেরাতে চুক্তির পথে না হাঁটে, তবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারব না’।

তারা আরও উল্লেখ করেছেন, ’আমাদের অনেকের জন্য ইতোমধ্যেই সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে; অন্যদের জন্যও সেই দিনটি আসছে, যখন আমরা হৃদয়ভাঙা হয়ে আর দায়িত্ব পালন করতে পারব না’। এর আগে ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে প্রকাশ পায় দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। 

এর আগে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সেনাদের অভিভাবকরাও ইসরায়েলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। তারা বলছেন, এ অর্থহীন যুদ্ধে সন্তানদের পাঠিয়ে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। গাজায় থাকা তাদের সেনা সন্তানদের ফেরত আনার দাবি করছেন তারা। 

এদিকে, এতকিছুর পরও গাজা এবং লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়িলের বিমান বাহিনী হিজবুল্লার প্রায় ১৮৫টি এবং হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত এক বছরে গাজায় ৪১ হাজার ৯৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৭ হাজার ৫৯০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়