শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল ◈ রাষ্ট্রপতি যখন সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য মিথ্যাচার: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, এখানে পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ ◈ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা ◈ ফের রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি সারজিসের ◈ টাঙ্গাইলের ছানোয়ার বছরে কফি উৎপাদন করেন ১ টন, রয়েছে অন্যান্য সবজিও ◈ পেনাল্টি ছাড়া রোনালদো থেকে মেসির গোল বেশি ◈ ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গোলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩৪ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানের হামলায় ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান সম্প্রতি ইসরাইলের সামরিক এবং গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলোতে বড় ধরনের মিসাইল হামলা চালায়। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২’ এর অধীনে পরিচালিত এ আক্রমণের ফলে ইসরাইলি অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক সাইরেনের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। 

ইরানের এ পাল্টা আঘাত ইসরাইলের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেখানে ইসরাইলের হামলাইয় হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোশান নিহত হন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে ইরানের মিসাইল হামলার পাঁচটি লক্ষ্যবস্তু সাইটের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেগুলোকে মূলত ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা কাঠামোর মূল অংশ বলে মনে করা হয়। সাইটগুলি হলো:

ইসরাইলের দক্ষিণে অবস্থিত নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে দেশটির অত্যাধুনিক স্টেলথ ফাইটার জেট, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট এবং ইলেকট্রনিক নজরদারি বিমান রয়েছে। এখানে তিনটি প্রধান রানওয়ে রয়েছে এবং এটি ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি। 

২০২৪ সালের এপ্রিলে ইরানের চালানো প্রথম হামলায় এ ঘাঁটিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক হামলার পর স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, এই ঘাঁটিতে আরও বড় ক্ষতি হয়েছে। একটি বিশাল ভবনের ছাদে বড় ধরনের গর্ত দেখা যায়, যা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নেভাতিমের পাশাপাশি হাতজেরিমও ইসরাইলের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি। এখানে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি অবস্থিত। যেখানে প্রশিক্ষণ বিমান, যুদ্ধ বিমান এবং অ্যারোবেটিক টিমের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

এ ঘাঁটিতে এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে, যেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়।

 

রাজধানী তেলআবিবের উত্তরে অবস্থিত গিলিলোট ঘাঁটিতে ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০-এর প্রধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই ইউনিট সিগনাল ইন্টেলিজেন্স (SIGINT) এবং ইলেকট্রনিক নজরদারির জন্য বিখ্যাত।


ইসরাইলের অন্যতম পুরাতন এবং প্রধান বিমানঘাঁটি হলো এই তেলনফ। যা সামরিক বিমান এবং পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় বলে ধারণা করা হয়। ইসরাইল এখানে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও বিশেষ বাহিনীর ইউনিট ৬৬৯-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।


ইউনিট ৫৫৫ মূলত স্কাই ক্রোস নামে পরিচিত। ইসরাইলের আকাশযুদ্ধ পরিচালনার একটি অত্যন্ত গোপনীয় ইউনিট। এটি মূলত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করে এবং শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইরানের মিসাইল হামলার কারণে ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে এবং এসব সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্যাটেলাইট চিত্র এবং ভিডিও বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, ইরানের মিসাইলগুলো ইসরাইলের এসব ঘাঁটিকে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং নেভাতিমসহ বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


ইসরাইল সরকার ইরানের এই হামলার বিষয়ে এখনও পুরোপুরি বিস্তারিত প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইসরাইলের সামরিক শক্তির ওপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ইরানের এই হামলার ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে সাম্প্রতিক এই মিসাইল হামলা ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সামরিক প্রতিযোগিতায় নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়