শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল ◈ রাষ্ট্রপতি যখন সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য মিথ্যাচার: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, এখানে পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ ◈ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা ◈ টাঙ্গাইলের ছানোয়ার বছরে কফি উৎপাদন করেন ১ টন, রয়েছে অন্যান্য সবজিও ◈ পেনাল্টি ছাড়া রোনালদো থেকে মেসির গোল বেশি ◈ ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গোলো বাংলাদেশ ◈ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন 

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দিল্লিতে নার্সিং হোমে ঢুকে ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা

দিল্লিতে একটি নার্সিং হোমে ঢুকে চিকিৎসককে গুলি করে হত্যা করলো দুই কিশোর। পশ্চিমবঙ্গ যখন আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মুখর, তখন দিল্লিতেও প্রশ্নবিদ্ধ হলো ডাক্তারদের নিরাপত্তা।

ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জইতপুরে নিমা হাসপাতালে। আগের রাতে ওই হাসপাতালে এসে এক কিশোর তার পায়ের আঘাতের চিকিৎসা করিয়েছিল। সে ও তার বন্ধু আবার ওই হাসপাতালে গত রাতে আসে। তারা বলে ওই আঘাতের জায়গায় আবার ড্রেসিং করাতে চায়। ড্রেসিং করে দেয়ার পর তারা বলে, চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেসক্রিপশন নিয়ে কথা বলবে। তারা ইউনানি মেডিসিনের চিকিৎসক জাভেদ আখতারের চেম্বারে ঢোকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে নার্সিং কর্মী গজালা পারভিন এবং মহম্মদ কামিল গুলির আওয়াজ শুনতে পান। তারা ডাক্তারের কেবিনে ঢুকে দেখেন তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, দুই কিশোরের বয়স ১৬-১৭ বছরের মতো। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সেখান থেকে দুই কিশোরের পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা করছে। আগের রাতে দুই কিশোর এসে একবার সবকিছু দেখে গিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলেই পুলিশ মনে করছে। আরজি করের দুই মাসের মধ্যে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার দুই মাসের মধ্যে দিল্লিতে এইভাবে চিকিৎসক খুন হলেন।

আবার ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এলো। আরজি করের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে মামলা হাতে নেয় এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, তা নিয়ে সুপারিশ করার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করে। তারা রিপোর্ট দেয়ার আগেই দিল্লিতে ডাক্তারকে খুন করা হলো। পশ্চিমবঙ্গেও অন্তত দুইটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। বোঝা যাচ্ছে, শুধু কলকাতা নয়, রাজধানী দিল্লিতেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। চিকিৎসক সংগঠনের প্রশ্ন দিল্লির ফেডারেশন অফ রেসিডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন প্রশ্ন তুলেছে, কেন ডাক্তাররাই হাসপাতালে সবচেয়ে সহজ টার্গেট হবেন?

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্ভবত আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই হত্যা করা হয়েছে। কোনোরকম উসকানি ছাড়াই এই হত্যা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ভারতের রাজধানী শহরে ডাক্তারদের কাজের জায়গায় কী হচ্ছে, তা দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা কি দিল্লির আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিচায়ক নয়? কেন হাসপাতালে ডাক্তাররা সহজ টার্গেট হবেন? কে জবাব দেবে? দিল্লির এলজি, চিফ মেডিক্যাল অফিসার, মুখ্যমন্ত্রী আতিশি, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সবাইকেই ট্যাগ করেছে ডাক্তারদের এই সংগঠন। দিল্লিতে পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং ও আইন-শৃঙ্খলার পুরো দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।

দিল্লি সরকারের মন্ত্রী ও আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজও সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, দিল্লি অপরাধেরও রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। গ্যাংস্টাররা অবাধে ঘুরছে, টাকা আদায় করছে, গুলি চালাচ্ছে এবং রোজ কাউকে না কাউকে হত্যা করা হচ্ছে। দিল্লির জন্য ন্যূনতম কাজটাও এলজি করতে পারছেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়