শিরোনাম
◈ প্রবাসী সরকার গঠন নিয়ে রাজনীতিতে নতুন আলোচনা ◈ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সমন্বয়ক হাসনাত ◈ জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, ফ্যাসিস্টদের উত্থান সহ্য করা হবে না: বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সারজিস ◈ ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি ◈ আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ এখনো ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়ছে শান্তরা ◈ কোটি টাকার স্পন্সর পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ◈ এ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম (ভিডিও) ◈ সুখবর: প্রাথমিকে ৯৫৭২ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি, আছে শর্ত ◈ পদত্যাগ করা সমন্বয়কদের নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা, বললেন আবারও রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৮ দুপুর
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় জাতিসংঘ

এম এইচ বাচ্চু : অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের প্রতিনিধিরা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে তারা নানামুখী তদন্ত করছেন। ইতোমধ্যে তাদের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়ে একগুচ্ছ তথ্য জানতে চেয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

জাতিসংঘের তদন্ত দলটি আন্দোলনকালে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি, ভুক্তভোগী, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সে সময়কালের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর তা বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্র করে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৪৬ দিনে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল। কতসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছিল। কেমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল এবং এ জন্য কারা দায়ী। এসবের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল।  

তারা আরও জানতে চেয়েছে, আন্দোলন মোকাবিলায় পুলিশ মোট কত রাউন্ড গুলি করেছে, আন্দোলনকালে কোন কোন কর্মকর্তা মাঠ পুলিশকে গুলির নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশের গুলিতে কতজন মারা গেছে, কোন কোন এলাকায় সর্বাধিক সহিংসতা ঘটেছে, কী ধরনের সহিংসতা হয়েছে।

এ ছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন পর্যন্ত কতজন হতাহত হয়েছে এবং ৫ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কতজন হতাহত হয়েছে তা জানতে চেয়েছে পুলিশের কাছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত দলের চাহিদানুযায়ী ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে তথ্য আনতে পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সদরদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ পর্যায়ে। সব ইউনিট থেকে তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর তা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত দলের কাছে তা হস্তান্তর করবে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে বলেছেন, জাতিসংঘের তদন্ত দলের চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ১ জুলাই থেকে  শুরু হয় আন্দোলন। মধ্য জুলাইয়ের পর এই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ শুরু করে। এ সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বলপ্রয়োগে যুক্ত হয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাতেও। এর পর ছাত্রদের এ আন্দোলন সরকার পতনের একদফায় রূপান্তরিত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহতের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্যমতে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়