শিরোনাম
◈ ফের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়ার তথ্যটি সঠিক নয়: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ◈ পারভেজ হত্যায় আলোচিত সেই দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে: হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ ◈ মানুষের জীবন বিপন্ন করে দাবি আদায়ের শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের: সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন (ভিডিও) ◈ বিচার বিভাগসহ চার ইস্যুতে বিএনপি-জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ বিরলে কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর থানায় হত্যা মামলা ◈ ফ্লোরিডায় উড্ডয়নের আগেই প্লেনে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২৮২ যাত্রী (ভিডিও) ◈ পরীক্ষাকেন্দ্রে হট্টগোল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি! ◈ বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরাইলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা সব প্রতিরোধ ফ্রন্টের

পারসটুডে: গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে তেল আবিব শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তেমনভাবে লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর বড় আকারের হামলা শুরু হওয়ার পর আবারও এই অবৈধ আগ্রাসী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে তারা।

তেল আবিবে ইয়েমেনি প্রতিরোধকামীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই মিলিয়নেরও বেশি ইহুদিবাদী বসতি আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে এবং বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দখলদার সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে ইয়েমেন থেকে ছোড়া অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের ওপর আঘাত হেনেছে এবং কমপক্ষে ১৭ জন ইহুদিবাদী এতে আহত হয়েছে।

হিব্রু মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল আবিব আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে আসা বসতি স্থাপনকারীদের ভিড়ের কারণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজন সিনিয়র ইয়েমেনি কর্মকর্তা আল মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান যে তারা তেল আবিব শহরে কয়েকটা অবস্থানে হামলা চালিয়েছেন এবং সে সময় ইসরাইলিদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি ইসরাইলি দখলদারদের কাছে বার্তা পাঠান যে 'শত্রুরা যেন অধিকৃত জাফা (তেল আবিব)কে অনিরাপদ মনে করে'।

ইয়েমেনে আনসারুল্লাহর নেতা  আব্দুল-মালিক আল-হুথি তার বক্তৃতায় বলেছেন যে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের অংশ হিসেবে আমরা এই সপ্তাহে ৩৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে অভিযান শুরু করেছি এবং যতক্ষণ গাজা আক্রমণ অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত প্রতিরোধ ফ্রন্ট সম্মিলিতভাবে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এদিকে,ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ অধিকৃত ফিলিস্তিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণা দিয়েছে।

ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন আজ সকালে অধিকৃত গোলানে একটি লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, ইরাকে ইসলামি প্রতিরোধের হামলার পর ইহুদিবাদী দখলদার সরকার গোলানের বাসিন্দাদের নির্দেশ মেনে চলতে বলেছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলেছে। এদিকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে সরাসরি লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে প্রবেশ করা।

ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠন আগেই দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে সতর্ক করেছিল এই বলে যে যদি ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যায় তবে তারা এই শাসক গোষ্ঠীর অবস্থানের বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা জোরদার করবে। এখন ইয়েমেন এবং ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।

লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর হামলা সম্প্রসারণের পর হিজবুল্লাহও তার আক্রমণের পরিধি হাইফা পর্যন্ত প্রসারিত করেছে এবং এর ফলে আরও লাখ লাখ ইহুদিবাদী উত্তর ফ্রন্টের বসতি স্থাপনকারীদের মতো একই পরিস্থিতিতে পড়েছে এবং তাদেরকে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

এই বিষয়ে হিব্রু-ভাষী সূত্রগুলো জানিয়েছে যে দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তরে অধিকৃত ফিলিস্তিনের ইসরাইলি বসতি এবং ঘাঁটির দিকে কয়েক ডজন রকেট ছোড়া হয় যার মধ্যে রয়েছে নর্থ আর্মি হেডকোয়ার্টাস, আল-জালিল আর্মি রিজার্ভ ঘাঁটি এবং উমাইয়াদে অবস্থিত লজিস্টিক ডিপো। এসব লক্ষ্যবস্তুতে হিজবুল্লাহর হামলার ফলে ইহুদিবাদীদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরফলে অধিকৃত  হাইফায় সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয় এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়।

নেতানিয়াহু  উত্তর ফ্রন্টে দখলকৃত এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পথ তৈরি করতে লেবাননে হামলা সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। এখন প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলো একযোগে হামলা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে  অধিকৃত ফিলিস্তিন জুড়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের এই  ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত সমস্ত অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডই উত্তর ফ্রন্টের মতো একই অবস্থা যে রূপ নেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়