শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:০৮ দুপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসলিমদের চিহ্নিত করার চেষ্টা : হিমাচলেও খাবারের দোকানে বিক্রেতার নাম লেখার নির্দেশ

আনন্দবাজার পত্রিকা: খাদ্যসুরক্ষার কথা অজুহাত দেখিয়ে রেখে এবার ভারতের উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছে হিমাচল প্রদেশ। এখন থেকে রাজ্যের সব খাদ্যবিপণিতে বাধ্যতামূলকভাবে লিখতে হবে বিক্রেতার নামপরিচয়। বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা গ্রামীণ সিমলার এমপি বিক্রমাদিত্য সিংহ। এটি মুসলিমদের চিহ্নিত করার একটি চেষ্টা বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। তারা এটাকে ধর্মীয় বিভেদমূলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য বুধবার বলেছেন, ‘মঙ্গলবারই নগরোন্নয়ন এবং পুরসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিক্রমাদিত্যের পিতা বীরভদ্র সিংহ দীর্ঘ ২১ বছর হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ দিকে নিজে কংগ্রেসের হলেও বরাবরই নানা ঘটনায় দলের বিরোধিতা করেছেন বিক্রমাদিত্য। কংগ্রেসের বাকি নেতারা না গেলেও চলতি বছরের গোড়ায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অযোধ্যা যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেন। এবার যোগী সরকারের দেখানো পথে হাঁটলেন সেই বিক্রমাদিত্যই।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ফলের রসে প্রস্রাব মেশানো, থুথু দিয়ে রুটি বেলার মতো একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যোগী বলেন, ‘এমন দূষিত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। এর পরেই মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দেয়, এবার থেকে খাবারের দোকানগুলোতে লিখে রাখতে হবে দোকানির নাম-ঠিকানা। দোকানে বসাতে হবে নজরদারি ক্যামেরাও।

উল্লেখ্য, মাসদুয়েক আগে কাঁওয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুরূপ নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিরোধী শিবিরের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। সরব হয়েছিলেন এমপি অখিলেশ যাদব থেকে মহুয়া মৈত্র। সকলেই একযোগে বলেছিলেন, যোগী সরকারের এই নির্দেশিকা ‘ধর্মীয় বিভেদমূলক’, মুসলিম দোকানিদের চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়