শিরোনাম
◈ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ (ভিডিও) ◈ মুক্তিযোদ্ধার মানহানি : ‘তীব্র নিন্দা’ জানাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ◈ এবার স্ত্রীকেও ‘হারাচ্ছেন’ সিরিয়ার ক্ষমত্যাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদ? ◈ দেশে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি‌ই আমেরিকার পরিকল্পনা ◈ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ ◈ সেভিয়াকে হারিয়ে দুই নম্বরে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ ◈ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়ার কতটা সুযোগ রয়েছে? ◈ অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভিস হেড ভারতের মাথা ব্যথার কারণ  ◈ দিল্লিতে অবৈধ ১৭৫ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করলো পুলিশ, শহরজুড়ে তল্লাশি ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়কে অপ্রত্যাশিত বলছেন আলাউদ্দিন বাবু

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:১৮ দুপুর
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

'যখন আমার মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত ছিল, তখন টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ'

কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তোলপাড় গোটা পশ্চিমবঙ্গ । প্রতিদিনই কোনও না কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে।  সন্তান হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়া এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এবার আরজিকর কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন  নির্যাতিতার  বাবা-মা। তাঁরা বলেন, 'যখন আমার মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত ছিল, তখন ডিসি নর্থ আমাদের  টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন।  আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু এত চাপ তৈরি করা হয়েছিল সেসময়ে। আর কিছু করার ছিল না। দেহ দাহ করতে বাধ্য হই। 

' নির্যাতিতার বাবা বললেন, 'ওরা কিন্তু আমার মেয়ের কোনও শরীরিক পরীক্ষা করেনি। যেটা প্রথম কাজ ছিল, সেটা কিন্তু করেনি। বেলা এগারোটার সময়ে জানানো হয়, আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কোনও মেডিক্যাল টেস্ট হল না, আগে তারা বলে দিল আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে এটা, সেটা তারা জানে।'

কন্যাহারা বাবার প্রশ্ন, 'ময়নাতদন্ত করতে এত দেরি করল কেন?  আমি ৬.৩০ থেকে ৭টার মধ্যে এফআইআর  করলাম, রেজিস্টার হল ১১.৪৫ মিনিটে। এত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মামলা রুজু করল। কী কারণে?'  ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বার বার মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু বাবা-মা-ই নন। নির্যাতিতার কাকিমাও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান, “ওইদিন (৯ আগস্ট) সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ খবর পাই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাড়ি নিয়ে আমরা আসি। চারজন একসঙ্গে এসেছিলাম। দেহ দাহ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘিরে রেখেছিল আমাদের। অন্তত তিন থেকে চারশো পুলিশ আমাদের পরিবারকে আটকে রেখেছিল।”

সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। এই পরিস্থিতিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। সন্তানহারা মায়ের ভেজা চোখে একটাই আর্জি, “আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক।” সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়