শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:১৮ দুপুর
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

'যখন আমার মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত ছিল, তখন টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ'

কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তোলপাড় গোটা পশ্চিমবঙ্গ । প্রতিদিনই কোনও না কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে।  সন্তান হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়া এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এবার আরজিকর কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন  নির্যাতিতার  বাবা-মা। তাঁরা বলেন, 'যখন আমার মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত ছিল, তখন ডিসি নর্থ আমাদের  টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন।  আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু এত চাপ তৈরি করা হয়েছিল সেসময়ে। আর কিছু করার ছিল না। দেহ দাহ করতে বাধ্য হই। 

' নির্যাতিতার বাবা বললেন, 'ওরা কিন্তু আমার মেয়ের কোনও শরীরিক পরীক্ষা করেনি। যেটা প্রথম কাজ ছিল, সেটা কিন্তু করেনি। বেলা এগারোটার সময়ে জানানো হয়, আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কোনও মেডিক্যাল টেস্ট হল না, আগে তারা বলে দিল আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে এটা, সেটা তারা জানে।'

কন্যাহারা বাবার প্রশ্ন, 'ময়নাতদন্ত করতে এত দেরি করল কেন?  আমি ৬.৩০ থেকে ৭টার মধ্যে এফআইআর  করলাম, রেজিস্টার হল ১১.৪৫ মিনিটে। এত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মামলা রুজু করল। কী কারণে?'  ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বার বার মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু বাবা-মা-ই নন। নির্যাতিতার কাকিমাও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান, “ওইদিন (৯ আগস্ট) সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ খবর পাই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাড়ি নিয়ে আমরা আসি। চারজন একসঙ্গে এসেছিলাম। দেহ দাহ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘিরে রেখেছিল আমাদের। অন্তত তিন থেকে চারশো পুলিশ আমাদের পরিবারকে আটকে রেখেছিল।”

সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। এই পরিস্থিতিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। সন্তানহারা মায়ের ভেজা চোখে একটাই আর্জি, “আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক।” সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়