শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ৬ বগি লাইনচ্যুত, ভোগান্তিতে যাত্রীরা ◈ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় ছাত্র সংগঠনগুলোর আচরণে কোনো পরিবর্তন আসবে? ◈ মসজিদ দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০ (ভিডিও) ◈ ২৪ কোটি ডলার রিজার্ভ বেড়েছে এক মাসে  ◈ সমন্বয়কের ভুয়া পরিচয়ে স্বর্ণালংকার-টাকা লুট, আটক ২ ◈ সেনাপ্রধান ও সেনা কর্মকর্তাদের অপসারণের তালিকা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের নামে ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার ◈ এসবি-পিবিআই-শিল্পাঞ্চলে পুলিশে প্রধান হলেন যারা ◈ সরকারি চাকরিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীরা যুক্ত হতে পারবে না ◈ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সশস্ত্র হামলায় নিহত ৫ ◈ ঘূর্ণিঝড় "দানা'' বাংলাদেশে আঘাত হানার আশংকা নেই

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নামিবিয়াতে খাদ্য সংকট চরমে, হাতি জবাই করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেক্স : নামিবিয়ায় চরম খরার প্রভাবে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দেশটির সরকার বাধ্য হয়ে বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে, ৮৩টি হাতিসহ ৭২৩টি বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগের পেছনে মূল কারণ হলো, প্রাকৃতিক সম্পদের সংকটের কারণে মানব ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাণী জবাইয়ের কাজটি প্রধানত সেইসব এলাকায় করা হবে, যেখানে চারণভূমি এবং পানি সরবরাহের অনুপাতে প্রাণীর সংখ্যা বেশি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই নামিবিয়ার অনেক অঞ্চলে খাদ্যের মজুদ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী আসন্ন মাসগুলোতে তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে, খরা ত্রাণ কর্মসূচির আওতায় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে ৮৩টি হাতি জবাই করে তাদের মাংস সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, ৩০টি জলহস্তী, ৬০টি মহিষ, ৫০টি হরিণ, ১০০টি নীল বন্যশুকর, ৩০০টি জেব্রা, এবং ১০০টি ইল্যান্ড জবাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে পেশাদার শিকারি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ১৫৭টি প্রাণী ইতোমধ্যে শিকার করা হয়েছে। এগুলো থেকে প্রায় ৫৬ হাজার ৮০০ কেজির বেশি মাংস সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত জরুরি এবং দেশটির সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকদের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি দেশে, বিশেষ করে জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা, এবং নামিবিয়ার সংরক্ষিত এলাকায় বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক হাতির বসবাস রয়েছে। যার ফলে এই অঞ্চলটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়