শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর তিন শতাধিক রকেট , লেবাননে পালটা বিমান হামলা

রাশিদ রিয়াজঃ ইসরায়েলে তিন শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। টাইম্‌স অব ইসরায়েল

এতে বলা হয়েছে, রোববার সকালে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাক লক্ষ্য করে ৩২০টিরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ সময় ড্রোন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিশোধমূলক আক্রমণের ‘প্রথম পর্যায়‘ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে।

লেবাননের সংবাদমাধ্যশ আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। তাদের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের পশ্চিমাঞ্চলের আল জালিল এলাকায় থেকে ইসরায়েলের একাধিক অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ৭০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পশ্চিম গ্যালিলিও অঞ্চলে এসব রকেট আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া গোলান মালভূমিতেও রকেট হামলা করা হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি ফাইটার জেট একযোগে দক্ষিণ লেবানন জুড়ে হাজার হাজার হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে রবিবার ভোরে।

গত মাসে বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনকে এই হামলাগুলি শুরু হতে বাধা দেয়নি, হিজবুল্লাহ দাবি করেছে যে এটি উত্তর ইস্রায়েলে রকেট এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। 

প্রথম পর্যায়ের এই হামলার লক্ষ্য ছিল এমন সব ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান, যেগুলো অকেজো হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হবে ইসরায়েল। বৈরুতে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর থেকেই লেবাননের এই সশস্ত্র সংগঠনটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প করে আসছিল। আজ হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের এই প্রতিশোধমূলক হামলার 'প্রথম পর্যায়' সফল হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের হামলা 'ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহর বেছে নেওয়া অবস্থানের' ওপর পরিচালনা করা হবে বলে সংগঠনটি জানালেও এই 'বেছে নেওয়া' অবস্থান সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানায়নি তারা।

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ১১টি সামরিক অবস্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির দাবি, এসব অবস্থানে হামলা সফল হয়েছে। তারা আরও জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হামলায় মোট ৩২০টি কাতিউশা রকেট ও অসংখ্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।  

এর আগে হিজবুল্লাহ জানিয়েছিল, এসব হামলার উদ্দেশ্য শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকর ও অন্যান্য শহীদদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া।

রকেট-ড্রোন হামলার কিছুক্ষণ আগেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের কিছু জায়গায় বোমাবর্ষণ করে। সামরিক বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর আসন্ন হামলা টের পেয়ে তারা এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেন। এই হামলার হতাহতের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

হিজবুল্লাহর হামলা ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে প্রায় ২১৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এগুলো কোথায় আঘাত হেনেছে, বা আদৌ হেনেছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত ৩০ জুলাই এক বিবৃতিতে ইসরায়েল নিশ্চিত করে, তারা হিজবুল্লাহর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ফুয়াদ শুকরকে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছে। হামলার সময় শুকর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীর জনবহুল এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ছিলেন। এই ভবনটি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।

ইসরায়েল জানিয়েছে, গত মাসে গোলান মালভূমিতে অধিকৃত মাজদাল শামস শহরে হিজবুল্লাহর হামলার প্রতিশোধে তারা ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করেছে। এই হামলায় ১২ জন ১০ থেকে ২০ বছর বয়সী শিশু ও তরুণ প্রাণ হারায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়