রাশিদ রিয়াজ: এর লক্ষ্য ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।

শুক্রবার বিকেলে এক্স-এ এক পোস্টে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই কমিটি ঘোষণা করেন।

ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং সেখানে বসবাসকারী অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কমিটি বাংলাদেশে তাদের প্রতিপক্ষ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চ্যানেল বজায় রাখবে, শাহ বলেন।

কমিটির প্রধান হবেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা চায় বলে জানানোর পর এই ঘোষণা আসে।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত এবং ভারতে চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কিছু অংশে হিন্দুদের উপর হামলার খবরের মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি এক্স পোস্টে, মোদি নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

"আমরা হিন্দু এবং অন্যান্য সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রুত ফিরে আসার আশা করি," মোদি বলেছিলেন।

ইউনূসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

"যদিও জনগণের বিজয় তার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এটি অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনার সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অসম সহিংসতা ছড়াচ্ছে, এই অর্জনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে," কাউন্সিল বলেছে।