সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যায় ইরানের নিরাপত্তা এজেন্ট ভাড়া করেছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ইরানের যে অতিথি ভবনে হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, ওই ভবনের তিনটি কক্ষে আগে থেকেই বোমা স্থাপন করে রেখেছিলেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ একথা জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি
[৩] সংবাদ মাধ্যমটি দাবি করেছে, দুই জন ইরানি কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন, গত মে মাসেই হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন তিনি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দাফনে যোগ দিতে ইরানে গিয়েছিলেন। তবে সে সময় ওই ভবনে ব্যাপক লোকসমাগম ও হত্যাকাণ্ড সফল না হওয়ার আশঙ্কা থেকে ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হয়েছিল।
[৪] এরপর উত্তর তেহরানে প্রভাবশালী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পের (আইআরজিসি) ওই অতিথি ভবনের তিনটি কক্ষে বোমা স্থাপন করেন ইরানের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ওই কক্ষগুলোয় হানিয়ার থাকার সম্ভাবনা ছিল।
[৫] আইআরজিসির অতিথি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা চুপিসারে মাত্র কয়েক মিনিটে মধ্যে তারা ভবনের বেশ কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করেন ও বের হন। এরপর তারা ইরান ছেড়ে চলে যান। তবে দেশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল।
[৬] অভিযুক্ত দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানতে পারেন, হানিয়া কোন কক্ষে রয়েছেন। এরপরই দিবাগত রাত দুইটার দিকে দেশের বাইরে থেকে ওই কক্ষে থাকা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটান তারা। এতে মৃত্যু হয় হানিয়ার।
[৭] আইআরজিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার পর তল্লাশি চালিয়ে ওই ভবনের অন্য দুটি কক্ষেও বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। তারা এখন নিশ্চিত যে আনসার আল-মাহদি সুরক্ষা ইউনিটের কর্মকর্তাদের ভাড়া করেছিল মোসাদ। এই ইউনিট আইআরজিসির অংশ। তারা উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। সম্পাদনা: রাশিদ
আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :