সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] ইসরায়েল মধ্য গাজার স্কুলে চালানো বিমান হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যূত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। সূত্র : আল জাজিরা
[৩] শনিবার ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় অবস্থিত হামামা স্কুলে এই হামলা চালানো হয়। শনিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানান, স্কুলে কমপক্ষে তিনটি বোমা ফেলা হয়।
[৪] তিনি বলেন, প্রথমবার হামলার পর উদ্ধারকারী এবং স্কুলের ভেতরে স্বেচ্ছাসেবকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের উদ্ধার করতে এবং পালাতে সাহায্য করার সময় ফের হামলা হয়। হানি মাহমুদ বলেন, ‘ওই তিনটি বোমা স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
[৫] তিনি বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপকভাবে এই কৌশল ব্যবহার করে বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে একটি বোমা ফেলে যাতে আংশিকভাবে স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়। এরপর সেখানে অনেক লোক জড়ো হলে ফের হামলা চালায়। আর এভাবে দখলদার বাহিনী সম্ভব বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে থাকে।
[৬] ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, স্কুলটি হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং এখানে যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কাজেও ব্যবহার করছিল হামাস। হামাস অবশ্য ইসরায়েলের এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, তারা স্কুল ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে কখনো সামরিক কাজে ব্যবহার করে না। সম্পাদনা: রাশিদ
আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :