ইমরুল শাহেদ: [২] গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের ৩০০ দিনে ইসরায়েল সর্বশেষ হামলা চালিয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরানে। এই হামলায় টার্গেট করা হয় হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
[৩] মাত্র তিনদিনে ইসরায়েল তেহরান ছাড়াও হামলা চালিয়েছে সিরিয়া, মিসর, জর্ডান, ইরাক, লেবানন এবং ইয়েমেনে। ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ১৭ হাজার হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
[৩] তিনশো দিনের যুদ্ধে সর্বাধিক হামলা চালানো হয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে। এই হামলার সংখ্যা ১০ হাজার ৩৮৯টি এবং তাতে নিহত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৯ জন ফিলিস্তিনি। এরপরেই রয়েছে লেবানন। এখানে চালানো হয়েছে ছয় হাজার ৫৪৪টি হামলা। হামলায় নিহত হয়েছে ৫৯০ জন। সিরিয়ায় চালানো হয়েছে ১৪৪টি হামলা এবং তাতে নিহত হয়েছেন ২৬০ জন। ইয়েমেন এবং ইরানে চালানো হয়েছে দুটি করে হামলা। তাতে দুই দেশের নিহত হয়েছেন ৭ জন।
[৪] ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত যেসব নেতা ও কমান্ডার নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ইসমাইল হানিয়া ছাড়াও রয়েছেন ফুয়াদ শুকর (হিজবুল্লাহ কমান্ডার), আলী আহমাদ হোসেইন (হিজবুল্লাহ কমান্ডার), মোহাম্মদ রেজা জাহেদী (ইরানি আইআরজিসি কমান্ডার), মোহাম্মদ হাদী হাজী রাহিমি (আইআরজিসি কমান্ডার), ইসমাইল আল-জিন (হিজবুল্লাহ কমান্ডার), উইসাম আল-তাউইল (হিজবুল্লাহ কমান্ডার), সালেহ আল-আরউরি (হামাস রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান) এবং সাঈদ রাজী মউসাবি (আইআরজিসি উপদেষ্টা)।
[৪] আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এবং ইভেন্ট ডাটা প্রোজেক্ট (এসিএলইডি) থেকে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ইসরায়েল সর্বমোট ১৭ হাজার ৮১টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান/ ড্রোন হামলা, শেলিং/ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রিমোট এক্সপ্লোসিভস হামলা। এতে ওই আটটি দেশের নাগরিক নিহত হওয়া ছাড়াও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সম্পাদনা: এম খান
আইএস/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :