সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হাসান বারারি বলেছেন, ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকান্ডে তিনি বিস্মিত হননি। কারণ ‘এটি ইসরায়েলের ঘোষিত নীতি। নেতানিয়াহু বার বার বলে আসছেন, তিনি গাজার ভেতরে ও বাইরে হামাস নেতাদের টার্গেট করে হত্যা করবেন।’ সূত্র : আল-জাজিরা
[৩] প্রফেসর হাসান বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল এমনটি করার চেষ্টা করে যাবে। তবে তেহরানের যে এমনটি ঘটবে তা আমরা ভাবতে পারিনি। আমরা জানি ইসরায়েল দামেশকে ইরানি কন্সুলেটে হামলা চালায়, তার জবাবে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালায়। আর ওই হামলার পর তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের সমর্থনে কিভাবে এগিয়ে এসেছিল এবং সম্ভাব্য যুদ্ধ বন্ধ করতে কিভাবে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল আমরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলাম।’
[৪] কাতারি প্রফেসর বলেন, তেহরানে হানিয়াকে হত্যা করার মাধ্যমে খুব বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে ইসরায়েল। ‘এ ঘটনা তেহরানের জন্য একটি বার্তা। এছাড়া সকলের জন্যও বার্তা রয়েছে, তাহলো, ইসরায়েল এ যুদ্ধ চালিয়েই যাবে, এ ব্যাপারে দখলদার দেশটি বদ্ধপরিকর।’
[৫] হানিয়ে ছিলেন হামাসের সবচাইতে বিখ্যাত নেতা। তিনি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের পক্ষে সারাবিশ্বের জনসমর্থন লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনদানকারী দেশগুলোর অন্যতম হল ইরান। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া দেশটিতে গিয়েছিলেন। হানিয়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি নতুন প্রেসিডেন্টের সমর্থন নিশ্চিত করতেও সেখানে গিয়েছিলেন।
[৬] প্রফেসর হাসান বলেছে, ইসরায়েলের হাতে নিহত হামাস নেতাদের মধ্যে হানিয়া প্রথম নন। ইসরায়েল ২০০৪ সালে গাজায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ও আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমদ ইয়াসিনকে হত্যা করে। মাত্র এক মাস পরে হত্যা করা হয় শেখ ইয়াসিনের উত্তরাধিকারী আব্দুল আজিজ আল-রানতিসিকে। সম্পাদনা: রাশিদ
[৭] হানিয়া ২০০৩ সালের দিকে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২০০৭ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। নিহত হওয়ার আগ পর্যন্তু ইসমাইল হানিয়া ছিলেন হামাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :