সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজা উপত্যকার অসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা একথা জানিয়েছে। গত সোমবার থেকে এসব হামলা শুরু হয়। এতে আহত হয়েছেন আরও শত শত। সেখানে এখনও নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র : অ্যারাব নিউজ
[৩] সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে একথা জানান। তিনি বলেন, শনিবার সেখানকার বহুলোক ফের বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাসাল বলেন, ‘খান ইউনুসের এসব বাসিন্দার কোথায় যাবেন? তাদের যাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই।’
[৪] তিনি বলেন, ‘যে কেউ খান ইউনুস এলাকায় গেলে দেখতে পাবেন যে, সেখানকার মাটিতে ও রাস্তাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় এলাকাটি এখন আর মানুষের বাসযোগ্য নেই।’
[৫] তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর কাছে নিজেদেরকে সোপর্দ করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই।’ ৫জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর গত শনিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সেখান থেকে বাসিন্দাদের চলে যাওয়ার জন্য নতুন করে নির্দেশ জারি করে।
[৬] সোমবার ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর খান ইউনুস থেকে এক লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তারা বলেছে, সরে যাওয়ার ইসরায়েলি নির্দেশ ও হামলা-লড়াই বেড়ে যাওয়ায় সেখানে ত্রাণ তৎপরতা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
[৭] জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেখানকার পানি, পয়নিস্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা ‘অসহনীয়’ হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে খান ইউনুসের সর্বশেষ ভয়াবহ হামলায় ১৫ শিশুসহ নিহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। সম্পাদনা: শামীম
এসএইচ/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :