সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রোববার (২৮ জুলাই)। বৃহস্পতিবার নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে। তৃতীয় মেয়াদে মাদুরোর ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক কূটনীতিক এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া। সূত্র : সিএনএন
[৩] নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে মাদুরোর দল রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে নির্বাচনী সমাবেশ করে তাদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে। সমাবেশে মাদুরো বলেন, বিরোধীরা সহিংসতার প্রচার করছে। তিনি বলেন, একমাত্র তিনিই ভেনেজুয়েলার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম। তিনি বলেন, দশজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে কে শান্তি ও স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দিতে পারেন?
[৪] গত সপ্তাহে এক নির্বাচনি সভায় মাদুরো হুমকি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে তিনি হেরে গেলে ‘রক্তস্নান’-এর প্রয়োজন হবে। তাঁর এ বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
[৫] মাদুরোর সমর্থকেরা বলে থাকেন, মাদুরোই প্রেসিডেন্ট হিসেবে পূর্বসূরি হুগো চাভেজের উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন এবং তিনি দরিদ্রদের জন্য একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রয়ে গেছেন।
[৬] এডমান্ডো গঞ্জালেজ নতুন সক্রিয় জোটের প্রতিনিধিত্ব করছেন। গঞ্জালেজ বলেন, ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, তিনি আশা করেন, সেনাবাহিনী তার প্রতি সম্মান দেখাবে। দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মাদুরো ও এর আগে শ্যাভেজের সমর্থক। তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সেনাবাহিনী জনরায়কে সম্মান জানাবে।
[৭] ভেনেজুয়েলার আদালত কথিত জালিয়াতির অভিযোগে বিরোধী নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেন। নির্বাচনে অংশ নিতে না পেরে মাচাদোর জোট এডমন্ডো গঞ্জালেজকে সমর্থন দেয়।
[৮] মাদুরোর সরকারের অধীনে ভেনেজুয়েলায় অর্থনৈতিক পতন, জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ৮০ লাখ অভিবাসন এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির ঘটেছে । মাদুরো সরকার চীন, ইরান, রাশিয়া ও কিউবার-ঘনিষ্ঠ মিত্র কিউবার মিত্র ভেনেজুয়েলা এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। এতে তেলসমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতি আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
[৯] বিরোধীরা নব-উদ্যমে বিভিন্ন স্থানে প্রচার করেছে। এডমান্ডোর প্রচারে ভেনেজুয়েলা ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমর্থন এসেছে। বলা হচ্ছে, দেশটির গত ২৫ বছরের নির্বাচনী ইতিহাসে এবার সরকার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
[১০] বিরোধীদের অভিযোগ, ভেনেজুয়েলা যে বাজে অর্থনৈতিক অবস্থায় পড়েছে এর কারণ, মাদুরোর নীতি ও ধারাবাহিক দুর্নীতি। তবে মাদুরোর দাবি, তার দেশ অর্থনৈতিক যুদ্ধের শিকার। দেশটির তেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। নির্বাচনে গঞ্জালেজ জিতলে অবশ্য ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্পাদনা: শামীম হাসান
এসএইচ/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :