সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা ‘বন্ধ হওয়ার পর’ উপত্যকাটি নিয়ে ইসরায়েলের কি পরিকল্পনা রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্তারিত জানায় দেশটি। একজন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা একথা জানান। সূত্র: অ্যারাব নিউজ
[৩] গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার পর মার্কিন বিমান বাহিনীর জেনারেল সি কিউ ব্রাউন এ মন্তব্য করেন। গাজায় গণহত্যার মূল হোতা যুদ্ধ অপরাধী নেতানিয়াহুকে পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
[৪] এই যুদ্ধ অপরাধীর ভাষণ ৬০ জন কংগ্রেস সদস্য তা বর্জন করেন। কিন্তু অন্যরা কুখ্যাত নেতানিয়াহুর মিথ্যায় ভরা ভাষণকে যেভাবে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায়, তাতে বিশ্বের বিবেকবান মানুষেরা মর্মাহত হয়েছেন। ওই ভাষণে নেতানিয়াহু যুদ্ধোত্তর গাজার ‘কট্টরপন্থীমুক্ত’ একটি অস্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন।
[৫] পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে জে: ব্রাউন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধোত্তর গাজার কোন বিস্তারিত পরিকল্পনা তাদের কাছ থেকে পাইনি। এবিষয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আগামী কয়েক মাস ধরে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, ইসরায়েলকেই এ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এধরণের পরিকরল্পনা না থাকলে হামাস আবার এই ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ফিরে আসবে।
[৬] জে: ব্রাউন বলেন, আমরা গাজার পরিবর্তন কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছি। আমরা আগে বলেছি, ইসরায়েল দখল অবসান ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেখানে শান্তি ফিরে আসবে। বাইডেন প্রশাসন এ বিষয়ে সমর্থন করলেও নেতানিয়াহু তার ভাষণে সেকথা বলেননি, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধী জানিয়েছে।
[৭] আল-জাজিরা জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৩৯ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ হাজার ৪০৩ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি নারী ও শিশু। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :