সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনুস ও বুরেইজ শরণার্থী শিবির কেন্দ্র এবং উত্তরের গাজা সিটিতে ইসরায়েলি জঙ্গী বিমানগুলো দফায় দফায় হামলা চালায়। আল-জাজিরার সংবাদদাতা ওই এলাকা থেকে এ খবর জানান।
[৩] ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী খান ইউনুসের দক্ষিণে আহতদের উদ্ধার করার সময় একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাজা গোলাবর্ষণ করেছে। ওই এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের নৃশংস স্থল হামলা ও গণহত্যা ক্ষেত্র বাড়াচ্ছে। গাজা সিটিতে আল-বান্না পরিবারের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনজন নিহতও বহু আহত হয়েছেন।
[৪] এ ছাড়া গাজা সিটির আল-দারাজ এলাকায় আবাসিক ভবনগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি জঙ্গী বিমানগুলো। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা এখবর জানায়।
[৫] যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলের যুদ্ধ অপরাধী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় গণহত্যায় তার মদতদাতা ও সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হারিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কমলা নেতানিয়াহুকে বলেছেন, এখন গাজার ব্যাপারে একটি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতিতে ‘পৌঁছার সময় হয়েছে’।
[৬] ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১১ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের একজন হল ১৭ বছরের বালক। সে আল-জাজিরাকে বলেছে, কারাগারে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। হামাস ও জিম্মিরা কোথায় আটক আছে সেসম্পর্কে তথ্য আদায় করতে তার ওপর এ নির্যাতন করা হয়।
[৭] গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৩৯ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ হাজার ৪০৩ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি নারী ও শিশু। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :