সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পেরুর দুর্গম আমাজন অরণ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাশকো পিরো নামে নতুন এক ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠীর বিরল ছবি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল। জুনের শেষ দিকে ব্রাজিল সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব পেরুর মাদ্রে দে দিওস অঞ্চলের একটি নদীর তীরে তাদের ওই ছবি ধারণ করা হয়। সূত্র : এনবিসি
[৩] গত মঙ্গলবার স্থানীয় আদিবাসী অধিকার গোষ্ঠী ফেনামাদ জানিয়েছেন, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিহীন এই নৃগোষ্ঠীকে খাদ্যের সন্ধানে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রেইন ফরেস্ট থেকে আরও ঘন ঘন বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। মূলত বনে কাঠ সংগ্রহকারী কোম্পানিগুলো ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তাদের বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
[৪] সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর ক্যারোলিন পিয়ার্স বলেছেন, শ্রমিকেরা যেখানে কাঠ কাটতে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিচ্ছিন্ন মাশকো পিরো আদিবাসীরা বিচ্ছিন্ন বাস করেন।
[৫] মন্টে সালভাদো নামে ইয়েন জনগোষ্ঠীর একটি গ্রামের কাছে সম্প্রতি ৫০জনেরও বেশি মাশকো পিরো গোষ্ঠীর মানুষকে দেখা গেছে। আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা এনজিওটি জানিয়েছে, কাছাকাছি পুয়ের্তো নুয়েভো গ্রামে ১৭ জনের আরেকটি দলকে দেখা যায়।
[৬] মাদ্রে দে দিওসের দুটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত একটি অঞ্চলে বসবাসকারী মাশকো পিরো খুব কমই বন থেকে বের হয়। ইয়িন বা অন্য কোন গোষ্ঠীর সঙ্গেও তারা খুব বেশি যোগাযোগ করে না।
এসআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :