ইকবাল খান: [২] নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এবারের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে গুলি চালানোর ঘটনায় সিক্রেট সার্ভিসকে দায়ি করা হচ্ছিলো।
[৩] আনন্দবাজার জানায়, মঙ্গলবার ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিম্বারলি শিয়াটল এক বিবৃতিতে বলেছেন, শনিবার পেনসিলভেনিয়ার ওই সভায় ট্রাম্পের উপর যে হামলা হয়েছিল, তার দায় তাঁর দফতরের।
[৪] দ্য ডেইলি বিস্ট জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার ঘাটতি যে সে দিন হয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কিম্বারলি। অবশ্য এর জন্য তিনি ইস্তফা দেবেন না বলেও এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন।
[৫] তবে সিক্রেট সার্ভিসের গাফিলতির কথা মেনে নিলেও বাটলার কাউন্টির স্থানীয় পুলিশও যে এই ঘটনার জন্য সমান ভাবে দায়ী, তা আরও এক বার পরিষ্কার করে দিয়েছেন কিম্বারলি। সে দিন বেথেল পার্কের ফেয়ার গ্রাউন্ডে ট্রাম্পের সভা ছিল।
[৬] সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, সভাস্থলের ভিতরের এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। আর ওই মাঠের বাইরের বাকি এলাকার নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় পুলিশ বিভাগের উপর।
[৭] কিম্বারলি ইঙ্গিত করেছেন, সে দিন যে বাড়ির ছাদ থেকে তরুণ হামলাকারী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, সেই বাড়ি ও তার ছাদের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব ছিল বাটলার কাউন্টির পুলিশ বিভাগের। শুধু সে দিনের সভার জন্যই নয়, বিশ্বের সর্বত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা সমমর্যাদার কোনও ব্যক্তিকে এভাবেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কিম্বারলি। তাঁর বক্তব্য, সব ক্ষেত্রেই তাই স্থানীয় পুলিশের উপরে অনেকখানি নির্ভর করতে হয় তাঁদের।
[৮] হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান সদস্য, জেমস কোমার একটি চিঠি দিয়েছেন কিম্বারলিকে। চিঠিতে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্রাম্পের সভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের তালিকা চেয়েছেন কোমার। তাঁর কথায়, ‘‘মার্কিন নাগরিকদের সব উত্তর জানার অধিকার আছে।’’
[৯] এই দায় ঠেলাঠেলির মধ্যে অবশ্য বন্দুকধারী টমাস ম্যাথু ক্রুকসের উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও খুঁজে পাচ্ছে না এফবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। তার বাড়িতে আরও ২০ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। হামলার ঠিক আগের দিন ৫০ রাউন্ড গুলি কিনেছিল সে।
আইকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :