সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] কিউবায় কর্মরত উত্তর কোরিয়ার একজন সিনিয়র কূটনীতিক স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএস) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে সংস্থাটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। সূত্র : এপি
[৩] দক্ষিণ কোরিয়ার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘চোসুন ইলবো’ ওই কূটনীতিকের নাম রি ইল কিউ বলে উল্লেখ করেছে। কিউবায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে তিনি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
[৪] চোসুন ইলবোকে রি ইল কিউ জানান, উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে মোহভঙ্গের কারণেই তিনি সিউলে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, চাকরির মূল্যায়ন নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রি ইল কিউর মতবিরোধ চলছিল। তাই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[৫] উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়াটা নতুন কিছু নয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার লন্ডন দূতাবাসের তৎকালীন কর্মকর্তা তাই ইয়ংহো পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিউলে তিনি সাংবাদিকদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, তিনি চান না তার সন্তানেরা উত্তর কোরিয়ায় দুঃখে-কষ্টে জীবন যাপন করুক।
[৬] তবে উত্তর কোরিয়া তাই ইয়ংহোকে ‘মনুষ্যবর্জ্য’ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনে। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাই ইয়ংহো।
[৭] ইতালিতে নিয়োজিত তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জো সং গিল ২০১৯ সালে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান। একই বছর কুয়েতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মরত তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতও সপরিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
[৮] ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার অন্তত ৩৪ হাজার নাগরিক দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানে পালিয়ে যান। উত্তর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী।
এসআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :