সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এ উত্তেজনা থেকে পরিস্থিতি বিপজ্জনক সংঘাতের দিকে মোড় নিতে পারে। তাই উত্তেজনা কমাতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অস্টিন ফোনালাপ করেছেন।
[৩] গত শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সম্ভাব্য উত্তেজনার ঝুঁকি কমানোর বিষয় নিয়ে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনা করেছেন। উত্তেজনা নিরসনে বেলুসভের পক্ষ থেকে অস্টিনকে ফোন দেওয়া হয়। সম্প্রতি জার্মানিতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনার বিষয়টি জানানো হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
[৪] জার্মানিতে সর্বশেষ দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, জার্মানিতে যদি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়, তবে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মতো দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে।
[৫] এ ফোনালাপের বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধ এবং সম্ভাব্য উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেন, ফোনালাপের সময় অস্টিন দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ চালু রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
[৬] ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা সত্ত্বেও উভয় পক্ষ মাঝেমধ্যে ফোনালাপ করেছে। সর্বশেষ গত জুন মাসের শেষের দিকে কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মস্কো। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :