শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৭ বিকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের পূর্বাভাস, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি, চীনের ৬৩ কোটি 

ইকবাল খান: [২] চীনকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। ২০২৩ সালের জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। অন্য দিকে, চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। 

[৩] আনন্দবাজার জানায়, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি জনসংখ্যা সংক্রান্ত সমীক্ষায় অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যাই সবচেয়ে বেশি হবে, ১৭০ কোটি। তার পরই ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে জাতিসংঘের এই রিপোর্টে।

[৪] জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকছে। 

[৫] ওই রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হতে পারে ১৪৫ কোটি। চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। 

[৬] ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের রিপোর্টে।

[৭] জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চীনের জনসংখ্যা কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। 

[৮] জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চীনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে জনসংখ্যা কমলেও একবিংশ শতাব্দীর শেষেও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশই থাকছে।

[৯] জাতিসংঘের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স' (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

[১০] সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে ‘দেসা’র অন্যতম জনসংখ্যা কর্মকর্তা ক্লেয়ার মেনোৎজি বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক আয়তন এবং জন্মহার কমার জন্য ২০২৪ থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যে চীনে জনসংখ্যা ২০ কোটিরও বেশি কমতে পারে।” এই সময়ের মধ্যে জাপানে ২ কোটি, রাশিয়ায় ১ কোটি জনসংখ্যা কমতে পারে।

[১১] দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা পাওয়া চীন ‘এক সন্তান নীতি’র উপরে জোর দেওয়ার পরেই সে দেশে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। 

[১২] ছয় দশক পরে প্রথম বারের জন্য চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শুধু থমকেই যায়নি, অস্বাভাবিক ভাবে কমতেও থাকে। 

[১৩] তথ্য বলছে, ভারতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থমকে গিয়েছে। ২০১১ সালের পর এ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশে থমকে গিয়েছে, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। 

[১৪] এর জেরেই ২০৬০ সালের পর জনসংখ্যা কমবে এ দেশে। জনসংখ্যা হ্রাসে লাগাম পরাতে চীন বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল করেছে। বরং একের বেশি সন্তান নেওয়ায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের।

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়